গাজীপুরের টঙ্গী দত্তপাড়া হাউজ বিল্ডিং এলাকায় স্বপ্না রায় ওরফে ফাতেমা আক্তার সুমি (৩০) হত্যা মামলার আসামি সৈজউদ্দিন খানকে (৭০) সিলেট মৌলভীবাজারের বড়লেখা থানার গোবিন্দপুর গ্রাম থেকে গ্রেফতার করেছে পূর্ব থানা পুলিশ। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে গাজীপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) মো. হাসিবুল আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) পীযুষ কুমার দে, টঙ্গী পূর্ব থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ (ওসি) জাবেদ মাসুদ, কর্মকর্তা ইনচার্জ (তদন্ত) দেলোয়ার হোসেন।
পুলিশ জানায়, স্বপ্না রায় ওরফে ফাতেমা আক্তার সুমি গত ৭/৮ বছর পূর্বে হিন্দু ধর্ম ত্যাগ করে মুসলমান ধর্ম গ্রহণ করেন। এরপর থেকে তিনি টঙ্গীর দত্তপাড়া হাউজ বিল্ডিং এলাকায় বিভিন্ন মেসে রান্না করা খাবার সরবরাহ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এরই প্রেক্ষিতে সৈজউদ্দিনের সাথে ফাতেমার পরিচয় হয়। এ সময় সৈজউদ্দিন ফাতেমাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সৈজউদ্দিন ফাতেমাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। একপর্যায়ে গত ১৬ মে সকালে ফাতেমা কাজের উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হয়ে দত্তপাড়া হাউজ বিল্ডিং এলাকায় জনৈক শাহাদাৎ হোসেনের বাড়ির সামনে পৌছলে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা সৈজউদ্দিন ধারালো চাকু দিয়ে ফাতেমার ডান পায়ের উরুতে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে পালিয়ে যায়। আশপাশের লোকজন তাকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওইদিনই ফাতেমার মেয়ে বাদি হয়ে টঙ্গী পূর্ব থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পূর্ব থানার এসআই শেখ সজল হোসেন আসামি সৈজউদ্দিনকে মৌলভীবাজারে পল্লী বিদ্যুৎ অফিস নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করা অবস্থায় গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। তার দেয়া তথ্যমতে তার ছেলের স্ত্রী জাহানারা বেগমের রান্না ঘরে শেডের উপর হতে হত্যার কাজে ব্যবহৃত রক্ত মাখা চাকু উদ্ধার করে পুলিশ। আসামীকে গাজীপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।