সরাইলে সড়কে যাত্রীবাহী ৩টি যানবাহনে ডাকাতি হয়েছে। গত বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের সরাইলের বড্ডাপাড়া শ্বশানের নিকটে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতের পিটুনিতে চালকসহ ৩ জন আহত হয়েছে। সুলাইমান মিয়া নামের এক অটোরিকশা চালক মাথায় আঘাত নিয়ে সরাইল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৫ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ, হাসপাতাল ও স্থানীয়রা জানায়, গত বুধবার দিবাগত রাতে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক সুলাইমান (৩৯) হাসপাতালের মোড় থেকে কালিকচ্ছের দিকে রওনা দেয়। একটু আগে পিছে একই দিকে যাত্রী নিয়ে রওনা দেয় আরেকটি অটোরিকশা ও ১টি সিএনজি চালিত অটোরিকশা। সড়কের বড্ডাপাড়া শ্বশানের কাছে যাওয়া মাত্র দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত মুখোশ পড়া ৭-৮ জনের একদল ডাকাত ৩টি গাড়ির গতিরোধ করে। তারা চালক ও যাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফেলে। পরে যাত্রীদের কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার, মুঠোফোন সেট ও নগদ টাকাসহ মোট ৫০ সহ¯্রাধিক টাকার মালামাল ছিনিয়ে নেয়। ১টি অটোরিকশার ২ যাত্রী তাদের মুঠোফোনসেট দিতে একটু গড়িমসি করায় চালকসহ তাদেরকে মারধর শুরূ করে ডাকাতরা। যাত্রীদের চিৎকারে আশপাশের লোকজনের ঘুম ভাঙ্গে। কিন্তু ভয়ে কেউ সড়কে না এসে বাস ভবন থেকে শোর চিৎকার করে। ততক্ষণে ডাকাতের পিটুনিতে মাথা ভেঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে চালক সুলাইমান। আহত অপর যাত্রীরা সুলাইমানকে টেনে তুলে হাসপাতালে পাঠায়। সুলাইমান হাসপাতালে ভর্তি হয়। আর প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি চলে যায় অপর ২ যাত্রী। চালক সুলাইমান সরাইল সদর ইউনিয়নের সৈয়দটুলা গ্রামের শুক্কুর মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর ওই রাতেই অভিযান চালায় সরাইল থানা পুলিশ। অভিযানকালে তারা ৫ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত ডাকাতরা হলো- কালিকচ্ছ ইউনিয়নের চাকসার উত্তর পাড়ার আব্দুল মন্নাফ মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া (৪৫), কুতুব আলীর ছেলে মো. আইয়ুব আলী (২৮), আবুল হোসেনর ছেলে আনোয়ার হোসেন আনার (২৯), সরাইল সদরের বড়িউড়ার আইয়ুব আলীর ছেলে আলমগীর (৪৫), পানিশ্বর ইউনিয়নের টিঘর (কাবিতারা) গ্রামের আবু ছায়েদের ছেলে মো. আরিজ ওরফে হারিছ (৪২)। গতকাল তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে কালিকচ্ছের আইয়ুব আলীর মা মুতিয়া বেগম (৬১) স্ত্রী আখিঁ বেগম (২৭) ও ছোট ভাই মোশাররফ (২৩) জানায়, গত ৮জুন মঙ্গলবার দিবাগত গভীর রাতে কয়েকজন পুলিশ এসে আইয়ুবকে ঘুম থেকে ওঠিয়ে নিয়ে গেছেন। সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কবির হোসেন বলেন, সড়কে ডাকাতির কথা শুনেছি। দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। আমরা দ্রƒত অভিযান চালিয়ে ৫ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি। কাজ করছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্য ডাকাতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি।