খুলনার পাইকগাছায় হলুদ চাষে ব্যস্ত কৃষক। তীব্র তাপদহের মধ্যে কৃষক হলুদের বীজ রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে বর্তমানে মাঝে মধ্যে ভারি বৃষ্টি হওয়ায় জমি প্রস্তুত করতে না পারায় হলুদ চাষে বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। কপিলমুনি অঞ্চলের হলুদ গুণগত ও উৎকৃষ্ট মানের বলে প্রচলিত আছে।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানাগেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১২৫ হেক্টর জমিতে হলুদের আবাদ হচ্ছে। উপজেলায় ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৪টি ইউনিয়ন গদাইপুর, হরিঢালী, কপিলমুনি ও রাড়-লীতে হলুদ চাষের উপযুক্ত ভূমি। হলুদ চাষের জন্য উঁচু জমি ও হালকা ছায়াযুক্ত জায়গায় হলুদ চাষ ভাল হয়। বৈশাখ থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত হলুদের বীজ বপন করা হয়। হলুদের সাথে সাথী ফসল হিসাবে ওল ও আলুর বীজ রোপণ করা যায়। উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের হিতামপুর, মেলেকপুরাইকাটী, তোকিয়া, গোপালপুর, মঠবাটী ও গদাইপুর গ্রামে হলুদের ব্যাপক আবাদ হচ্ছে। হলুদ চাষ করার জন্য জমি উত্তমরূপে চাষ করতে হয়। এরপর মই দিয়ে মাটি সমান করে দুই পাশের মাটি উঁচু করে হয়। এই উঁচু মাটির মধ্যে হলুদের বীজ রোপণ করা হয়। উঁচু মাটির পাশে হালকা নালামত তৈরী হয়। বৃষ্টি হলে ওই নালা দিয়ে পানি বের হয়ে যায়। এতে হলুদের বীজ নষ্ট হয় না। গদাইপুর গ্রামের হলুদ চাষী নজরুল ইসলাম এফএনএসকে জানান, এক বিঘা জমিতে হলুদ রোপণ করতে প্রায় ২০০ কেজি বীজের প্রয়োজন হয়। তিনি প্রতিবছর হলুদ চাষ করেন। এ বছরও প্রায় দুই বিঘা জমিতে হলুদের বীজ রোপণ করেছেন। তিনি এফএনএসকে আরো জানান, হলুদ চাষের জন্য এ বছরে আবহাওয়া ভাল রয়েছে। তবে অতিবৃষ্টি না হলে হলুদের চাষ ভাল হবে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. জাহাঙ্গীর আলম এফএনএসকে জানান, হলুদ একটি লাভ জনক ফসল। হলুদের সাথে সাথী ফসল হিসাবে ওল ও আলুর বীজ রোপণ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। হলুদ চাষীদের কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন ধরণের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে হলুদের আবাদ ভাল হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।