যশোরে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একইসাথে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা আক্রান্ত এবং করোনার উপসর্গ নিয়ে মোট ৩ জন মারা গেছেন।
মৃতরা হলেন - যশোরের শার্শা উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকার রফিউদ্দিন (৭০), যশোর সদরের ঝুমঝুমপুর এলাকার মো. মাসুদের মেয়ে সুমি (১৪) এবং ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার পুরন্দরপুর এলাকার অমেদুল ইসলামের ছেলে মকছেদুল ইসলাম (৪৮)।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রফিউদ্দিন ও সুমি গত ১০ জুন যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। এদের মধ্যে রফিউদ্দিন শনিবার ভোররাতে এবং সুমি সকাল ৮টার দিকে মারা যান।
অপরদিকে, মকছেদুল ইসলাম করোনা উপসর্গ নিয়ে শনিবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন। সকাল সোয়া ৮টার দিকে তিনি মারা যান।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আরিফ আহমেদ বলেন, রফিউদ্দিন হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে (রেড জোনে) এবং সুমি করোনা ওয়ার্ডে (ইয়েলো জোন) ভর্তি ছিলেন। শনিবার ভোর ও সকালে তারা দুজন মারা যান। এ ছাড়া জ¦র, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে আরেক রোগী শনিবার সকালে করোনা ওয়ার্ডে (ইয়েলো জোন) ভর্তির পর মারা যান।
এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শনিবার শনাক্তের হার ২৭ শতাংশ। এ ছাড়া যশোর জেনারেল হাসপাতালে ৬৪ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। করোনা সংক্রমণ রোধে যশোর পৌরসভা ও নওয়াপাড়া পৌরসভায় ঘোষিত লকডাউন কার্যকর করতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে প্রশাসন।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. আক্তারুজ্জামান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে রেকর্ড সংখ্যক রোগী ভর্তি হয়েছে। হাসপাতালের করোনা ডেডিকেটেড ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন ৬৪ জন ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে রয়েছে ৪২ জন।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মো. সায়েমুজ্জামান বলেন, স্বাস্থ্যবিধি না মানায় গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৮টি মামলা দিয়ে জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।