সদর উপজেলার ঈদগাঁওয়ে বোন কর্তৃক জীবিত চার ভাই-বোনকে মৃত বানিয়ে সৃজিত ভূয়া খতিয়ানের জায়গা দিন দুপুরে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে জবর দখল চলছে। থানা পুলিশকে বারবার জানালেও পুলিশ রহস্যময় কারণে কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছে না বলে অপর ওয়ারিশের দাবি। সোমবার (১৪ জুন) সকাল থেকে ঈদগাঁও কলেজ গেইট সংলগ্ন বিদ্যুৎ এরিয়ার পশ্চিম পাশে পুনরায় এ জবর দখল কাজ শুরু হয়। ওই জায়গার অপর ওয়ারিশ আজিজুল হকের অভিযোগ, কলেজ গেইট এলাকার শামিম নামের এক ভূমি দালালের নেতৃত্বে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা ওই জায়গার উপর সকাল থেকে জবর দখল কাজ শুরু করে।তিনি ঈদগাঁও থানা পুলিশের এস আই রেজাউলকে বারবার জানালেও কোন ব্যাবস্থা নিচ্ছে না বলে দাবি করেন। এ পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে না গিয়ে উল্টো দখলে নেতৃত্ব দেয়া দালাল শামিমকে মোবাইলে কল করেই দায় সারার চেষ্টা করছে বলে সাংবাদিকদের জানান। এ সুযোগে দখলবাজরা ঝড় বৃষ্টির মধ্যেও জবরদখলের উদ্দেশ্যে পাকা বাউন্ডারি দেয়াল নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তিনি নিরুপায় হয়ে দখলবাজদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিতে পুলিশ সুপারের নিকট অভিযোগ করছেন। ঈদগাঁও মেহেরঘোনার মৃত ইমান শরীফের চার ছেলে-মেয়েকে মৃত বলে তথ্য দিয়ে ঈদগাঁও চেয়ারম্যান থেকে প্রতারণামুলক ভাবে ওয়ারিশ সনদ নিয়ে তার অপর মেয়ে হানু বেগম তাদের অংশসহ তার নামে ভূয়া খতিয়ান সৃজন করে। সম্প্রতি জীবিত চার ভাই-বোনকে মৃত বানানোর জালিয়াতির সংবাদ প্রকাশিত হলে হানু বেগম ও তার ছেলেরা স্থানীয় শামীম নামের এক দালালকে দিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে গত শনিবার (১২ জুন) দুপুরে জবরদখলের উদ্দেশ্যে অবৈধ পাকা স্থাপনা নির্মাণ কাজ শুরু করে। পরে ওয়ারিশ আজিজুল হকের অভিযোগে ঈদগাঁও পুলিশের এসআই রেজাউল ঘটনাস্থলে পৌঁছে কাজ বন্ধ করে দেন। এদিকে এ ভূয়া খতিয়ান সৃজন ও জায়গা জবর দখল চেষ্টার সংবাদ প্রকাশিত হলে প্রতারক হানু বেগমের ছেলে ও দালালচক্র সংবাদ নানা ভাবে হুমকি ও সাজানো মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিচ্ছে বলে। অপরদিকে চেয়ারম্যান এ জালিয়াতির ঘটনা অবগত হয়ে পূর্বেকার ওয়ারিশ সনদ বাতিলে প্রত্যয়নপত্র ও মৃতদের জীবিত উল্লেখ করে নতুন ওয়ারিশ সনদ দিয়েছে বলে ওয়ারিশ আজিজুল হক সাংবাদিকদের জানান।ভুক্তভোগি ওয়ারিশ ওই জবর দখল বন্ধে প্রশাসনের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। অভিযোগ উঠা দালাল শামীম রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত তার নেতৃত্ব জবরদখল কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীয়রা জানান।