মেহেরপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ সহকারী প্রকৌশলী অনুজ কুমার দেকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক দুই সভাপতির বিরুদ্ধে। তার দাবি সোমবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে তার কক্ষে প্রবেশ করে মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন ও সদর থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আনন্দ মিলে তাকে মারধর করে।
অনুজ কুমার দে জানান, ৩৯ লাখ টাকা ব্যায়ে সংস্কার কাজের জন্য পাথর, প্রিগ্রাভেলস, বালি, জ¦ালানী কাঠ, ব্যাগ ইত্যাদী ক্রয়ের জন্য খুলনার শহিদ এন্টারপ্রাইজ দরপত্র পায়। চলতি বছরের মে মাসে থেকে জুন মাসের ১৮ তারিখের মধ্যে মালামাল সরবরাহের জন্য বলা হয়। ঠিকাদারের প্রতিনিধি হিসেবে বারিকুল ইসলাম লিজন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ২০/২৫ ভাগ মালামাল সরবারাহ করেছে। সরবরাহকৃত মালামাল আনুমানিক ১২/১৩ লাখ টাকা হতে পারে। কিন্তু পুরো ৩৯ লাখ টাকার বিল সাবমিট করে সে। যততুটু মালামাল সরবরাহ করা হয়েছে সেই পরিমান বিল দেয়া হবে জনালে বারিকুল ইসলাম লিজন ও আনন্দ পুরো টাকা দিতে হবে বলে আমার উপর চাপ প্রয়োগ করে। পরে লিজন আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে মারধর শুরু করে। এ সময় আমি চিৎকার করলে, আমার অফিসরে অন্যরা এসে আমাকে উদ্ধার করে। এ বিষয়ে মোখিক ভাবে সরদার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবগত করা হয়েছে। পরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করার করা হবে।
মেহেরপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বারিকুল ইসলাম লিজন বলেন,শতভাগ কাজ করার পর বিল চাইতে গেলে হয়রানি করে। এ নিয়ে একটু সমান্য একটু ঝামেলা হয়েছে। তবে এটা ভুল বুঝাবুঝি।
মেহেরপুর সদর থানার ওসি শাহ মো: দ্বারা বলেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের এক উপ সহকারী প্রকৌশলীর সাথে ঝামেলা হয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ করেনি।
এ বিষয়ে মেহেরপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (অতিরিক্ত) নজরুল ইসলাম জানান, মারধরের বিষয়ে শুনেছি। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।