শেরপুরে বেড়েই চলেছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। জেলার একমাত্র করোনা চিকিৎসা কেন্দ্র ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে করোনা রোগী রাখার জায়গা নেই। রোগীদের জন্য আসন আছে ১০০, মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দুপুর পর্যন্ত রোগী ভর্তি আছে ১১৬ জন। হাসপাতালের এই অবস্থায় করোনা রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ না হওয়া পর্যন্ত হাসপাতালমুখী হতে চাচ্ছে না স্বজনরা। করোনা রোগীর ভয়ে সাধারণ রোগীর ভর্তি কমে গেছে। চারদিকে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই বাড়ছে। বাড়িতে বাড়িতে জ¦র ঠা-া শরীর ও গলা ব্যথাসহ করোনার লক্ষণ নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পরীক্ষা করতে আসা লম্বা লাইন সামাল দিতে পারছে না জনবল সংকটে থাকা হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ। লোকবলের চরম সংকট তার উপর স্রোতের মতো আসছে করোনা রোগী। সব সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ।
জুলাইয়ের শুরু থেকেই প্রতিদিন ভর্তি রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ৪-৫ দিন ধরেই রোগীর সংখ্যা শতকের নিচে নামছে না। প্রতিদিন অক্সিজেন লাগছে আটশ কেজি। শেরপুর হাসপাতাল এখন অনেকটা করোনা রোগী ও স্বজনদের। হাসপাতাল জুড়ে কান্না, আতঙ্ক, হতাশা আর ২৪ ঘণ্টা এ্যাম্বুলেন্সের শব্দ পরিবেশকে ভারি করে তুলছে।
সূত্র জানায়, জুলাই মাস শুরু হওয়ার পর আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই মাসের ১২ দিনেই আক্রান্ত হয়েছেন ৮০৫ জন। একই সময়ে মারা গেছেন ১৩ জন। করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন কমপক্ষে ৮ জন। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন আরও ৭-৮ জন।
সদর হাসপাতালের আবাসিক খায়রুল কবির সুমন জানান, রোগীর স্রোত থামছে না। আসন খালি না থাকলেও ব্যবস্থা তো করতেই হবে।
জেলার সিভিল সার্জন একেএম আনওয়ারুর রউফ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে যাচ্ছে। সরকারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে ডাক্তারসহ লোকবল চাওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে বিকল্প ব্যবস্থা করে হলেও করোনার রোগীদের চিকিৎসায় দেওয়া হবে।