বাংলাবাজার-শিমুলিয়া নৌরুটে লঞ্চ ও ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে শত শত কুরবানীর পশুবাহী ট্রাক ও পন্যবাহী ট্রাক। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে ঘাটে পারের অপেক্ষায় রয়েছে ট্রাকগুলো। ফেরিতে কম সংখ্যক পশুবাহী ট্রাক উঠিয়ে বেশির ভাগই ব্যক্তিগত গাড়ি পারাপার হচ্ছে ঘাটটিতে এমন অভিযোগ গরু ব্যবসায়ীদের। এদিকে ঘন্টার পর ঘন্টা তীব্র রোদ ও গরমে গরুগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
বাংলাবাজার ঘাটের স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল থেকে দক্ষিনাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পশুবাহী ট্রাক পারাপারের অপেক্ষায় বাংলাবাজার ঘাটে আসে। অগ্রাধিকার থাকলেও কর্তৃপক্ষ পশুবাহী ট্রাকগুলো কম পারাপার করছে। এদিকে তীব্র রোদ ও গরমে গরুগুলো অসুস্থ হয়ে পড়ছে। ট্রাকে তাম্বুরা টাঙ্গিয়ে পাখা দিয়ে বাতাস করে ও পশুর মাথায় পানি ঢেলেও কাজ হচ্ছে না। এ ছাড়া ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় ঘরমুখো মানুষের ভিড় রয়েছে ঘাটটিতে। ফেরিঘাটে অ্যাম্বুলেন্সসহ ঢাকাগামী ছোট যানবাহনের ভিড় রয়েছে। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে বরাবরের মতোই উদাসীন ছিলো কুরবানীর গরু ব্যবসায়ী, সাধারণ যাত্রীসহ অনেকেই।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ফেরিঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, বৃহস্পতিবার (১৫ জুলাই) সকাল থেকে নৌরুটে চারটি রো রো ফেরিসহ ১২টি ফেরি চলাচল করে। শিথিলের ঘোষণা আসার পর থেকেই ঘাটে কুরবানীর পশুবাহী ট্রাকের চাপ শুরু হয়। পাশাপাশি কাঁচামাল অন্যান্য পরিবহন ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপও রয়েছে। ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী যাত্রী চাপও রয়েছে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঘাটে পশুবাহী ট্রাক, কাঁচামাল, অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী এ্যম্বুলেন্স আগে পারাপার করা হচেছ। তবে গত কয়েক দিন ধরে নৌরুটের পদ্মা নদীতে ¯্রােতের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচল কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে পদ্মা পার হতে দেড় ঘণ্টা বেশি লাগছে। এতে করে কমেছে ফেরির ট্রিপ। তবে ঘাট কতৃপক্ষ ক্যামেরার সামনে কোন কথা বলতে রাজি হননি।