নীলফামারীর সৈয়দপুরে সরকারী বিধিনিষেধ অমান্য করে গাড়ী চালায় শহরের বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ি আলতাফ হোসেনের দুই পুত্র। এ সময় গাড়ী থামায় পুলিশ। পড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে জরিমানা করা হয় ৫শ টাকা। আদালতের জরিমানার টাকা পরিশোধ না করে কৌশলে সেখান থেকে ব্যবসায়ির দুই ছেলে পালিয়ে যায়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত রমিজ আলম নির্দেশ দিলে পুলিশ প্রায় ১ কিলোমিটার দুরে গিয়ে তাদের আটক করে। এ সময় সৈয়দপুর থানার ওসি (তদন্ত) আতাউর রহমানকে লাঞ্চিত করে ব্যবসায়ির বড় ছেলে আতিফ। পুলিশ কর্মকর্তার গায়ে হাত তুলে। এক পর্যায় সরকারী পোষাক ছিঁড়ে ফেলে। এটি ঘটে ২৩ জুলাই রাতে। ওইদিন ব্যবসায়ির দুই পুত্র আতিফ ও আতিককে থানা থেকে ছেড়ে নিতে কতিপয় ব্যক্তি আপ্রাণ চেষ্ঠা চালায়। গভীর রাত পর্যন্ত চলে বৈঠক। কিন্তু সব যায় বিফলে। টাকা কাজ করেনি প্রশাসনের কাছে।
পরদিন ২৪ জুলাই উভয়কে আদালতে প্রেরণ করে থানা পুলিশ। নীলফামারী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সহদেব চন্দ্র রায় তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ প্রদান করেন। বর্তমানে তারা নীলফামারী কারাগারে রয়েছে।
পুলিশ জানায় কঠোর লকডাউনের প্রথম দিন ২৩ জুলাই রাত সাড়ে ৭টার দিকে সৈয়দপুর বিমানবন্দর সড়কের সিএসডি মোড়ে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালায় আতিফ। সরকারের বিধি নিষেধ অমান্য করে এভাবে গাড়ী চালানোয় সেখানে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা তাঁর গতিরোধ করেন। বিধিনিষেধ অমান্য করার অভিযোগে ঘটনাস্থলেই তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ভারপ্রাপ্ত রমিজ আলম তাঁকে ৫শ টাকা জরিমানা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জরিমানা পরিশোধ না করেই গাড়ি নিয়ে সেখান থেকে সটকে তারা।
এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের আদেশে আরেকটি গাড়ি নিয়ে প্রায় ১ কিলোমিটার পথ ধাওয়া করে আতিফকে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের বিসিক শিল্পনগরীর কাছে ধরে ফেলে পুলিশ। এ সময় গাড়ি থেকে নেমে কর্তব্যরত পরিদর্শক আতাউর রহমানের গায়ে হাত তোলেন আতিফ ও গাড়ীতে থাকা ছোট ভাই আতিক। পিটিয়ে পুলিশের ওই কর্মকর্তার শরীরের পোশাক ছিঁড়ে ফেলে।
সৈয়দপুর থানার পুলিশ কর্মকর্তা আতাউর রহমানকে লাঞ্চিত করার ঘটনায় শুক্রবার রাতেই এস আই রেজাউল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।