পিরোজপুর সদর উপজেলার কলাখালী ইউনিয়নের পুকুরিয়া এলাকায় টোনা নদীতে নিখোঁজ হওয়ার তিনদিন পর মো. ফারজিন খান (১২) নামে এক মাদরাসাছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৩১জুলাই) সকালে একই উপজেলার দুর্গাপুরে কালিগঙ্গা নদীর কৈবত্তখালী এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। ফারজিন খুলনার লবনচারা উপজেলার জিন্নাপাড়ার হাফিজ খানের ছেলে। পুকুরিয়া এলাকায় সে তার মামা রিয়াজ মোল্লার বাড়ি বেড়াতে এসেছিল। ফারজিন খুলনা শিপইয়ার্ড হাফিজিয়া মাদরাসার ছাত্র ছিল। জানা গেছে, শনিবার উপজেলার দুর্গাপুরে কালিগঙ্গা নদীর কৈবত্তখালী এলাকায় মরদেহ ভাসতে দেখে থানায় খবর দেন স্থানীয়রা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি ফারজিনের বলে শনাক্ত করেন তার স্বজনরা। মামা রিয়াজ মোল্লা বলেন, গত বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে আমিসহ (মামা) তার ভাগ্নে ফারজিন ও আরও পাঁচ-ছয়জন মিলে বাড়ির সামনের টোনা নদীতে গোসল করতে নামি। সে সময় নদীতে বেশ স্রোত ছিল। তাই ফারজিনকে নদী থেকে উঠতে বলে আমি গোসল শেষ করে বাড়িতে চলে যাই। কিছু সময় পর সেখানে থাকা অন্যরা নদীতে ফারজিনের নিখোঁজ হওয়ার খবর জানায়। বিষয়টি জেলা ফায়ার সার্ভিসকে জানালে ডুবুরি দল দু’দিন তাকে উদ্ধারের চেষ্টা চালালেও কোনো খোঁজ মেলেনি। ফারজিন ঈদ উপলক্ষে আমার বাড়ি বেড়াতে এসেছিল। কঠোর বিধিনিষেধের কারণে পরে আর সে খুলনা যেতে পারেনি। পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ জ ম মাসুদুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।