সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে মেহেদীর রং না উঠতে বিলধামাই গ্রামে এক স্কুল ছাত্রীর বিয়ের ১২ দিন পর বাবার বাড়িতে এসে গোসলখানায় সবার অজান্তে গলায় ওড়না পেচিঁয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার এই অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার চান্দাইকোনা ইউপির বিলধামাই গ্রামের আমিনুল ইসলামে স্কুল পড়-য়া কন্যা আঙ্গুরী খাতুন (১৬) এর সাথে গত ১২ দিন আগে সোমবার সামাজিক নিয়মনীতি মেনে বিয়ের দিনধার্য করে একই উপজেলার ধামাইনগর ইউনিয়নের চান্দের পাইকরা গ্রামের আবদুল বাতেনের ছেলে নাসির উদ্দিন (২২) এর সাথে। এদিকে বাল্য বিয়ের খবর পেয়ে ওই স্কুল ছাত্রীর বিয়ে ভেঙ্গে দেয় রায়গঞ্জ থানা পুলিশ। এরপর উভয় পক্ষে লোকজন সবার অজান্তে কাবিন ছাড়াই বরের বাড়ি চান্দেঁর পাইকরা গ্রামে বিয়ে সুম্পন্ন করে। অপরদিকে ওই স্কুল ছাত্রীর বিয়ের ১২ দিন পর বাবার বাড়িতে এসে গোসলখানায় সবার অজান্তে গলায় ওড়না পেচিঁয়ে আত্মহত্যা করে। খবর রায়গঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৭ টায় স্কুল ছাত্রী আঙ্গুরী খাতুনের লাশ উদ্ধার করে। পরদিন শুক্রবার সকাল ৯ টায় সিরাজগঞ্জ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় আঙ্গুরী খাতুনের স্বামী নাসির উদ্দিন ও তার পিতা মাতা গাঁ ঢাকা দিয়েছে। তাদের বাড়িতে ঝুলছে তালা। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মুকুল হোসেন জানান ওই বিয়ের বিষয়ে আমি কিছু জানিনা। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে রায়গঞ্জ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরন পৃর্বক ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।