জাতীয় বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে সরকার ঘোষিত গণটিকা কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণার সংবাদ প্রচার হলেও এ-সংক্রান্ত কোন অফিস আদেশ এখনো পায়নি নব অনুমোদিত ঈদগাঁও উপজেলার ৪ নম্বর ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ।
এ অবস্থায় সীমিত পরিসরে হলেও আগামী ৭ আগস্ট এ ইউনিয়নে আদৌ টিকার নিবন্ধন কার্যক্রম ও টিকা প্রদান করা হচ্ছে কিনা তা নিয়ে বেশ ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন অনেকে এ ব্যাপারে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের নিকট জানতে চাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এ প্রতিবেদক ঈদগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সৈয়দ আলম এর সাথে কথা বলেন। সচিব সৈয়দ আলম জানান, গণটিকার কার্যক্রম স্থগিত' সংক্রান্ত কোন চিঠিপত্র এখনও তার হাতে আসেনি। তাই তার মতে গণটিকা সংক্রান্ত পূর্বের সিডিউল এখনো বলবৎ বলা যায়। পূর্বের সিডিউল মাতে ৭ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী ঈদগাঁও ইউনিয়নে গণটিকার রেজিস্ট্রেশন ও টিকা প্রদান করার কথা। ইউনিয়নের তিনটি নির্ধারিত কেন্দ্রে টিকা রেজিস্ট্রেশন উটিকা প্রয়োগের কথা ছিল। ঈদগাঁও আলমাছিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসা কেন্দ্রে এক থেকে তিন নম্বর ওয়ার্ডের ৬০০ জন, কালিরছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে চার থেকে ছয় নম্বর ওয়ার্ডের ৬০০ জন এবং পাল পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৭ থেকে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৬০০ জনসহ মোট ১৮ শত জনকে টিকা প্রয়োগের পরিকল্পনা করা হয়েছিল এ সিডিউলে।
অন্যদিকে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা আহমদ আনোয়ার জানান, ২৫ বছরের ঊর্ধ্বে বাংলাদেশী নাগরিকদের এ টিকার আওতায় আনা হবে। এতে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও নারীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে। টিকাকেন্দ্রে আসার সময় মাস্ক পরিধানপূর্বক জাতীয় পরিচয় পত্র ( এন আইডি) এবং মোবাইল সঙ্গে আনতে হবে। যারা সুরক্ষা অ্যাপস এর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তাদের এনআইডির পরিবর্তে রেজিস্ট্রেশন কার্ডটা সাথে আনলে হবে। তিনি আরো বলেন, রেজিস্ট্রেশন কার্ড ব্যতিরেকে কোনক্রমেই টিকা নেয়া যাবে না। টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও এনআইডি বাধ্যতামূলক। সুরক্ষা অ্যাপসটির সার্ভার মাঝে মধ্যে ডাউন আসে বলে জানান তিনি। তবে ইউপি মেম্বারদের কে টিকার রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে বলে দেয়া হয়েছে। খবর নিয়ে জানা গেছে, কোন কোন মেম্বার টিকার রেজিস্ট্রেশনের জন্য নাগরিকদের কাছ থেকে এনআইডি সংগ্রহ করছেন। স্থানীয় মাধ্যমিক শিক্ষক- কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সচিব নুরুল ইসলাম ও সার্ভার সমস্যার কথাটি স্বীকার করেছেন। সু-শাসনের জন্য নাগরিক- সুজন ঈদগাঁও থানা শাখার সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মমতাজ উদদীন আহমদ মহসিন জানান, আমাদের ইউনিয়নে টিকা কার্যক্রম পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার বিষয়টি আমরা এখনো জানতে পারি নি। অন্যদিকে ঈদগাহ আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নুরুল কবিরের প্রশ্ন, তার এনআইডি ভারুয়াখালী ইউনিয়নের। কিন্তু তিনি সপরিবারে অবস্থান করেন ঈদগাঁও ইউনিয়নে। এখন তাকে কোন ইউনিয়ন থেকে টিকা নিতে হবে? বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন- বাপা ঈদগাঁও উপজেলা শাখার কর্মকর্তা রাশেদুল আমির চৌধুরী ক্ষোভের সাথে জানান, ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ টিকা কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি স্পষ্টীকরণ করেন নি। তাই ইউনিয়নবাসীর মধ্যে এ ব্যাপারে ব্যাপক ধোঁয়াশার সৃষ্টি হয়েছে।