বরগুনার পাথরঘাটয় আবদুস ছত্তার নামের এক শ্বশুরের বিরুদ্ধে তার পূত্রবধূকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় ভাবে সালিশ মিমাংসা করে ঘটনাটি চাপা দিয়ার চেষ্টা করছেন একটি মহল। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের লাকুরতলা এলাকায়। অভিযুক্ত শ্বশুর আবদুস ছত্তার মুসুল্লী একই এলাকার মৃত আবদুল হাসেমের ছেলে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ব্যাক্তি জানান, আবদুস সত্তারের ছেলে চাকরির সুবাদে পুত্রবধু তারই ঘরে থাকেন। এসুযোগে গত সোমবার (১৬ আগষ্ট) ভোররাতে পুত্রবধুর রুমে গিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে হাতদিলে সে চিৎকার দিয়ে উঠে দেখতেপান শুধু তার শ্বশুর সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। পরে বিষয়টি স্থানীয়দের মাঝে ছড়িয়ে পরলে জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েত, বাচ্চুসহ একাদীক ব্যাক্তি ঘটনাটি সালিশের নামে ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছেন। তারা আরো জানান, এর আগেও তিনি একই ভাবে পূত্রবধূর সাথে ঘটনা ঘটিয়েছেন। এভাবে যদি চলতে থাকে আমাদের সমাজে টিকে থাকাই দায় হয়ে যাবে। আমরা ওই ছত্তারের এমন বিচার চাই যাতে তাকে দেখে অন্য কেউ এরকম অপরাধ করার সাহস না পায়।
ওই গৃহবধূ মুঠোফোনে কান্নাজরিত কন্ঠে জানান, আমার সাথে আমার শ্বশুর যে কাজ করেছে তা বলার মতো ভাষা আমার নেই। সে একদিকে আমার খালু আবার আমার শ্বশুর, সে এভাবে কারতে পারবে তা আমি কখনো ভাবতেও পারিনাই। আমি চাই আমার মান-সম্মানসহ আমার সন্তানদের নিয়ে বাঁচতে। আমার স্বামী চাকরির সুবাদে দুরে থাকার সুযোগে শ্বশুর আমার কাছ থেকে এ সুযোগ নিতে চায়। আমি চাই যাতে সম্মানের সাথে স্বামীর ঘর করতে পারি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শ্বশুর আবদুস ছত্তার জানান, আমার সাথে টাকা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে তাই মিথ্যা অপবাধ দিয়েছে। এগুলো সম্পূর্ন মিথ্যা কথা।
জাহাঙ্গীর পঞ্চায়েত ও বাচ্চুর কাছে সালিশের কথা জানতে চাইলে, তাদের দুজনকেই সালিশের মাধ্যমে সমাধান করে দিয়েছি এবং ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
ধর্ষণ চেষ্টার ঘটনার বিষয় থানায় না জানিয়ে সালিশ করেতে পারেন কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদোত্তর দিতে পারেনি।
পাথরঘাটা থানা ভারপ্রপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল বাশার সাংবাদিকদের জানান, এরকম কোন ঘটনার অভিযোগ আমাদের কাছে এখনো আসেনি।