নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয়ে ২০২১ সনের এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। এই ফি পরিশোধ করতে অনেক অভিভাবককেই বিপাকে পড়তে হচ্ছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থী অভিভাবকগন মিডিয়াকর্মীদের এমনটাই জানান।
অবিভাবকগন বলেন, সুসং সরকারি মহাবিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষা বোর্ডের দেয়া নির্দেশনাকে উপেক্ষা করে নির্ধারিত বোর্ড ফি’র সঙ্গে অতিরিক্ত ১৫শ টাকা আদায় করছেন। এছাড়াও করোনাকালীন সময়ে কলেজ বন্ধ থাকলেও ব্যবস্থাপনা বাবদ আদায় করছেন অতিরিক্ত আরো ২শত টাকা। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকশিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ২০২১ সালের উচ্চমাধ্যমিকপরীক্ষার্থীদের ফরম পূরণে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য বোর্ড ফি ৮০০ টাকা, কেন্দ্র ফি (ব্যবহারিকসহ) ৩৬০ টাকা ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য বোর্ড ফি ৭৭০ টাকা, কেন্দ্র ফি ৩০০ টাকা আদায়ের নির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী এইচএসসি পরীক্ষার জন্য শুধু বোর্ড নির্ধারিত পরীক্ষা ফি ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বকেয়া বেতন ছাড়া অন্য কোনো অর্থ আদায় করতে পারবেন না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কিন্তু এ নির্দেশনা উপেক্ষা করেই অতিরিক্ত অর্থ আদায় করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফরম পুরণের সময় বৃদ্ধি করা হলেও কলেজের পক্ষ থেকে মানবিক শাখায় নিয়মিত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ২৪৭৫/- টাকা ও বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ২৫৭৫/- টাকা হারে আদায় করা হচ্ছে। সেই সাথে মান উন্নয়ন এবং পুরাতন শিক্ষার্থীদের কাছ থেকেও ১হাজার থেকে ১২শ টাকা অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, সরকারি ভাবে বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে ১১৬০ টাকা ও মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীর নিকট থেকে ১০৭০ টাকা নেয়ার কথা থাকলেও যথাক্রমে ২৪৭৫ ও ২৫৭৫ টাকা নেয়া হচ্ছে। আমরা গরিব পরিবারের শিক্ষার্থী, আমাদের সাথে কলেজ কর্তৃপক্ষ যে অন্যায় করে চলেছে, গনমাধ্যমকর্মীদের মাধ্যমে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলের কাছে এ বিষয়টি তুলে ধরতে চাই।
এ নিয়ে অধ্যক্ষ মিজানুর রহমান প্রতিনিধিকে বলেন আপনারা যা জেনেছেন সবঠিক আছে, অনলাইনে ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বোর্ডের নির্দেশনা মোতাবেক অর্থ আদায় করা হচ্ছে। এতে তিনটি অংশের মধ্যে একটি অংশ বোর্ড, একটি কেন্দ্র ও আরেকটি অংশ কলেজের ফান্ডে জমা হয়ে থাকে। কলেজের অংশটি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন খাতে ব্যয় হয়ে থাকে। সরকারি ভাবে প্রতিষ্ঠানের জন্য অন্য কোন খাতে টাকা নেয়া যাবেনা মর্মে নিষেধ থাকলেও নিচ্ছেন কেন ? এমন প্রশ্নের উত্তর এরিয়ে যান তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাজীব-উল-আহসান বলেন, সরকারি নির্দেশনার বাহিরে কোন প্রকার অর্থ আদায় সম্পুর্ন বে-আইনী। তবে বিষয়ের সত্যতা থাকলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।