ফেনীর ফুলগাজীতে খালেদা ইসলাম নামে এক নারীকে অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় অভিযুক্ত মো. তারেক ও আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল মিনার নামে দুই যুবককে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় র্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে। এর আগে রোববার দুপুরে শ্বশুরবাড়ির নির্যাতনে বাকশক্তি হারানো গৃহবধূকে ঘরের জানালা দিয়ে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায় দুই যুবক। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর মা শাহেন আরা বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
নির্যাতিত গৃহবধূর মা শাহেনা আরা অভিযোগ করে বলেন,‘আমার মেয়ে অ্যাসিড নিক্ষেপকারীদের চিনতে পেরেছে। তারা আমার মেয়ের শ্বশুরবাড়ির পক্ষের লোকজন।
মামলার এজহার ও নির্যাতিত খালেদা ইসলামের পারিবারিক সূত্র জানায়, প্রায় পাঁচ বছর আগে ফুলগাজী উপজেলার দরবারপুরের ইসমাইল হোসেনের মেয়ে খালেদা ইসলামের সঙ্গে পরশুরাম উপজেলার সাতকুচিয়া গ্রামের প্রবাসী লিখন আহমেদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে লিখনের মা, ভাই ও বোনেরা খালেদাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতে থাকেন। গত ৭ আগস্ট খালেদা ইসলামকে চিকিৎসার নামে নির্যাতনের পর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে বাবার বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
এ ঘটনায় ফুলগাজী থানায় একটি মামলা করা হলে খালেদা ইসলামের ননদ হাসিনা আক্তার ও ননদের স্বামী আবুল কাশেমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর জেরেই খালেদা ইসলামকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন স্বজনরা।
ফুলগাজী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু তাহের জানান, গৃহবধূ খালেদা ইসলামের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপের ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়। আটক মো. তারেক র্যাব হেফাজতে ও আবদুল্লাহ মিনার ফুলগাজী থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।