ফেনী মুহুরী নদীর পানি কমতে শুরু করলেও উপজেলার সদর ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢলের পানিতে প্লাবিত ছয়টি গ্রাম থেকে বন্যার পানি নামতে শুরু করেছে ধীর গতিতে। ১২ তারিখে স্কুল খোলার নির্দেশনা থাকলে এদিকে ফুলগাজী উপজেলার কিসমত ঘনিয়ামোড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ এখনো পানিতে তলিয়ে রয়েছে।এছাড়া কয়েকদিনে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়কের ফুলগাজীর ঘনিয়ামোড়া এলাকার আধা কিলোমিটার অংশ থেকেও পানি অনেকাংশে নেমে গেছে। তবে শুরু করেছে ছোট বড় যানবহন চলাচল। এর আগে রোববার সন্ধ্যায় বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে এবং গত সোমবার সকালে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। তবে উজানের পানির চাপ ও পাহাড়ি ঢলের পানির প্রবাহ কমে যাওয়ায় গতকাল রাত থেকেই নদী ও গ্রামগুলোর পানি ধীরে ধীরে নামতে শুরু করেছে।
ফুলগাজী উপজেলা কৃষি বিভাগের উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা লুৎফুল হায়দার ভুঁঞা জানান, উপজেলার সদর ইউনিয়নের ছয়টি গ্রাম বন্যাকবলিত হওয়ায় দুইশো হেক্টর সদ্য আবাদ করা রোপা আমন ও ৮ হেক্টর সবজি নিমজ্জিত হয়।
অপরদিক ফেনী জেলা পরিষদের সদস্য ও বন্যাকবলিত কিসমতমোড়া গ্রামের বাসিন্দা হাজী জামাল উদ্দিন বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ভাঙন স্থান মেরামতে পাউবো কর্মকর্তাদের তদারকিতে গাফিলতির অভিযোগ করেছেন। সঠিক তদারকি হলে কাজের মান আরও ভালো হতো বলে মনে করেন তিনি।
অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ছোট ভাঙন স্থানগুলো মেরামতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন উল্লেখ করে পাউবোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আক্তার হোসেন মজুমদার জানান, উজানে আর বৃষ্টি না হলে ও পাহাড়ি ঢলের পানির চাপ না থাকলে দ্রুতই পানি সরে গিয়ে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফেরদৌসী বেগম জানান, গত বুধবার সকালে ফুলগাজীতে মুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হয়। উজানে বৃষ্টি না হলে দু-এক দিনের মধ্যেই ধীরে ধীরে পানি নেমে যাবে। বন্যার পানিতে প্লাবিত এলাকার দুই হাজার লোকজনের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ মেট্রিক টন চাল ও ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তিনি আরো জানান, কিছুদিন পরপর বাঁধ ভেঙে গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে মানুষ ও ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। মজমুত বাঁধের কোনো বিকল্প নেই।