এলাকার লোকজন কিছুটা ঠাট্টা করে বলতেন, এসব কাঁটার গাছ কেন? কয়েক বছরের ব্যবধানে সেই কাঁটার গাছগুলো ফলবতী হয়ে উঠেছে। এই প্রথম হলুদ ড্রাগন ফলের চাষ শুরু করে বেশ লাভবান হলেন একই পরিবারের পাচ ভাইরা ভাই। গড়ে তোলা ড্রাগন বাগানটি বাণিজ্যিক ভাবে সফল হয়েছে। সদর উপজেলার গোয়ালমারি গ্রামে এই হলুদ জাতের ড্রাগনের চাষ শুরু হয়েছে। এই জাতটি সম্পুনূ ভিন্ন জাতের। পাচ ভাইরা এক সাথে এক একর জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ করে ব্যাপক সফল হয়েছেন। প্রথমে সখের বশিভুত ভাবে পরে তারা বানিজ্যিক ভিত্তিতে ফলের চাষ করতে সফল হয়েছেন।
কৃষি উদ্যোক্তা শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, নাটোরের ডঃ কামরুজ্জামান সাহেবের ছাদ বাগানে হলুদ ড্রাগন ফলের চাষ দেখে তিনি ও পাঁচ ভাইরা মিলে এ ফলের আবাদ করার সখ পোষন করেন। টেলিভিশনে বিভিন্ন প্রতিবেদন দেখে তিনিও উৎসহিত হন। শুরুতে সামান্য কিছু চাষ করেন। বর্তমানে এখন এক একর জমিতে চাষ করতে সক্ষম হয়েছেন। প্রতিটি চারা ১ হাজার টাকা করে ক্রয় করেন। এ জাতের ফল বাগান খুব বেশি আবাদ হয় না,কারন সম্পর্কে মিজানুর বলেন, হরুদ রং এর কারনে চারার দাম টা অনেক বেশি। তার বাগানের ড্রাগন গাছকে ওপরের দিকে ধরে রাখার জন্য সিমেন্টের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে দেয়া হয়েছে। ড্রাগনের চারা বা কাটিং রোপণের ১০ থেকে ১২ মাসের মধ্যেই ফল সংগ্রহ করা যায়। এ ফলের ৪০০ গ্রাম ৫০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজন হচ্ছে। অঅন্তজার্তিক বাজারে এ ফলের দাম অনেক বেশি রয়েছে বলে জানান। শুরুতেই প্রতিটি গাছে ১৫ টি করে ফল ধোরেছে। ফল টি পেকে গেলে ও অনেক দিন গাছে রাখা যায় ও নিজের ইচ্ছামত কাটা যায়। পাইকারি কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা দরে। এ ছাড়াও এখন প্রতিদিন তার খামার থেকে বিক্রি হচ্ছে ড্রাগন গাছের চারা। ড্রাগন বাগান দূর থেকে দেখলে মনে হয় সযতেœ ক্যাকটাস লাগিয়েছে কেউ। মৌসুমে বাাগনে গেলে চোখ জুড়িয়ে যায় বাহারি রঙের ফুলে ভরা খামার দেখে। একজন শিক্ষিক চাষি এ ফলের চাষ শুরু করে সফল হয়েছে।
ফলের চারা রোপণের জন্য ২০-৩০ দিন আগে প্রতি গর্তে ৪০ কেজি পচা গোবর, ৫০ গ্রাম ইউরিয়া, টিএসপি ও এমওপি ১০০ গ্রাম করে এবং জিপসাম, বোরন ও জিংক সালফেট ১০ গ্রাম করে দিয়ে, গর্তের মাটি উপরে-নিচে ভালোভাবে মিশিয়ে রেখে দিতে হবে। তবে এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে লাগানো ভালো বলে তিনি জানান।