রোববার সকালে হঠাৎ মুখরিত হয়ে উঠে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনগুলো। দেড় বছর পর প্রিয় শিক্ষার্থীরা সহপাঠিদের কাছে পেয়ে যেন আনন্দের শেষ ছিলো না। তবে এসব আনন্দের মাঝেও স্বাস্থ্যবিধি মানার কড়া বার্তা পালনের জন্য শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের নজরদারিতে রেখেছিলেন। সকাল সাড়ে ৯টা বাজতে না বাজতেই স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা যেন বুকভরা আনন্দ নিয়েই সহপাঠি ও প্রিয় শিক্ষকদের সামনে হাজির হয়েছেন এদিন। শিক্ষকরাও বিদ্যালয়ের প্রাণ সুপ্রিয় শিক্ষার্থীদের বরণ করতে আনন্দের কোন কমতি ছিলো না। দেড় বছর পর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে যেন স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এক মিলন মেলায় রুপ নেয়।
খোঁজ খবর নিয়ে জানযায়, শিক্ষার্থীরা তার বিদ্যালয় পৌছানো মাত্রই প্রিয় শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি তাদের হাতে মাস্ক তুলে দিয়ে স্বাস্থ্যবিধির সর্তক বার্তা জানান দেয়। এরপর শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর নেন শিক্ষকরা। এসএসসি পরীক্ষার্থী ২০২১ ও ২০২২ শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়গুলোতে রীতিমতো প্রতিদিন ক্লাস নেওয়া হবে, আর অন্যান্য ক্লাসগুলো ফলো করা হয়েছে রুটিন মাফিক চলবে বলে জানান মণিরামপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল লতিফ।
এ সময় আবদুল লতিফ আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা যেন স্কুলে এসেই ঈদ আনন্দ উপভোগ করেছেন। তবে স্বাস্থ্যবিধি মানাতে শিক্ষকদের হিমশিম খেতে হয়েছে। যথারীতি সকাল ১০টা বাজতেই শিক্ষার্থীদের শ্রেণী কক্ষে যেতেই ঘন্টার আওয়াজ বেঁজে উঠে। পাঠদান করানোসহ অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ করা ও দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের।
সুন্দলপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মোতাহার হোসেন বলেন, তার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অধিকাংশ নতুন পোষাকে বই খাতা নিয়ে সকাল ৯টার মধ্যে পৌছুয়েছে। শিক্ষকরা সুপ্রিয় শিক্ষার্থীদের হাতে ফুল দিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নিয়েছেন। অপর দিকে শিক্ষার্থীরাও প্রিয় শিক্ষকদের বিভিন্ন ভাবে বরণ করেছেন। এ সময় সকলের মধ্যে দীর্ঘদিনের না দেখার সময়গুলোর খোঁজ খবর নিয়েছেন একে অপরে। এরপর যথানিয়মে পাঠদান কার্যক্রম শুরু হয় রুটিন মাফিক।
বিদ্যালয় খোলার শুরুতেই সকাল থেকেই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাজমা খানম, নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র সরকার, অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার মাসুদ হোসেনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপজেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরেজমিন পরিদর্শন করেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ জাকির হাসান বলেন, বিদ্যালয় খুলে দেওয়ায় দায়িত্ব নয়, বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীদের খোঁজ খবর নেওয়া এবং স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে বিদ্যালয়ের প্রধানগণ কতটুকু তাদের দায়িত্ব পালন করছেন তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।