‘এসিডিটি হলে আপনি যেন কোথাও হারিয়ে যান’Ñ সাম্প্রতিক সময়ের টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের কথা। এসিডিটি বহুল পরিচিত ও ব্যাপক পীড়াদায়ক এক স্বাস্থ্যগত সমস্যা। যে কোনো সময়ে, যে কোনো স্থানে এ সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন যে কেউ। এসিডিটি আসলে কোনো রোগ নয়। মূলত খাবারের অনিয়মের কারণেই মানবদেহে এসিডিটির সৃষ্টি হয়। এর কারণে হজমে ব্যাঘাত ঘটে এবং পাকস্থলীতে অতিরিক্ত গ্যাস জমা হয়। ফলে পেট ও বুক জ্বালাপোড়া করে। আবার অনেক সময় বমি বমি ভাব হয়। যদি এসিডিটিতে আক্রান্ত হন, তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে এ সমস্যা সহজেই মোকাবেলা করতে পারবেন। এসিডিটি দূর করতে তুলসী পাতার চেয়ে মহৌষধ আর নেই। এটি চিবিয়ে কিংবা পানিতে সিদ্ধ করে সে পানি খেতে পারেন। দেখবেন এসিডিটি কোথায় পালিয়ে গেছে। এসিডিটি হলে লবঙ্গ খান। লবঙ্গ পাকস্থলীতে গেলে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যায়। যার সুবাদে এ সমস্যা থেকে তৎক্ষণাৎ মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কলায় আছে পটাশিয়াম, এসিডিটি তাড়িয়ে দিতে যার জুড়ি নেই। কলা খেলে পাকস্থলীর দেয়ালে থাকা ঝিল্লিগুলো সুদৃঢ় হয়, ফলে এসিডিটিজনিত ক্ষতি হ্রাস পায়। ঠা-া দুধ এসিডিটি কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে বেশ কাজ দেয়। দুধে উপস্থিত ক্যালসিয়াম এসিডিটির যন্ত্রণা থেকে মুক্তি দেবে অনায়াসেই। এসিডিটি দূর করতে পুদিনা পাতা বেশ কার্যকর। সে সঙ্গে পরিপাকেও যথেষ্ট সহায়তা করে। আদা শুধু হজমে সহায়তা করে না, আলসার কিংবা এসিডিটি দূর করতেও এটি খুব কাজে দেয়।