রাজশাহীর মোহনপুরে সাবেক প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী-ছেলের বিরুদ্ধে গোছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের জমিতে বাড়ি নির্মাণ ও খেলার মাঠ দখলের অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চরম উত্তোজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটতে পারে বলে মনে করছেন সচেতন মহল।
গোছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালে গোছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কুদরতুল্লাহ কবিরাজ বিদ্যালয়ের ১৫ শতক জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়ি নির্মাণে সহযোগিতা করেন তৎকালীন বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। গত ২০১৮ সালের ১২ জানুয়ারি সাবেক প্রধান শিক্ষক কুদরতুল্লাহ কবিরাজ মারা যান। বিদ্যালয়ের জমিতেই তাঁকে দাফন করা হয়। সাবেক প্রধান শিক্ষককের স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরা বিদ্যালয়ের জমিতে নির্মাণকৃত বাড়িতে বসবাস করতে থাকেন। হঠাৎ করে গত ৪ সেপ্টেম্বর সাবেক প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী রোকেয়া বেওয়া, ছেলে মেহেদী হাসান, স্ত্রী শামীমা আক্তার মিলে বাড়ির সংলগ্ন শিক্ষার্থীদের খেলাধূলা ফাঁকা মাঠ কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে দখল করে নেয়।
গোছা বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এমরান আলী জানান, ২০০৫ সালে তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির যোগসাজসে সাবেক প্রধান শিক্ষক কুদরতুল্লাহ কবিরাজ স্কুলের ৩০ শতক জমির মধ্যে ১৫ শতক জমি দখল করে বাড়ি নির্মাণ করেন। কিন্তু তাঁর স্ত্রী, ছেলে মিলে তাদের লোকজন নিয়ে শিক্ষার্থীদের খেলা ধূলার মাঠ দখল করে কাটা তারের বেড়া দিয়ে দখল করে রাখেন। বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে বাধা দিলে উল্টো সাবেক প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন।
মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানওয়ার হোসেনের যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি সঠিকভাবে তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।