জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে গত ১২ সেপ্টেম্বর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আমিনুর ইসলাম উপজেলার শালবন গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে। সহায় সম্বলহীন নিহত আমিনুরের স্ত্রী সুলতানা ও ৬বছর বয়সী একটি শিশু সন্তানের ভবিষতের কথা চিন্তা করে পাশে দাঁড়িয়েছেন ওই এলাকার সমাজসেবক ইলিয়াস হোসেন।
জানা গেছে, ১২ সেপ্টেম্বর রোববার সন্ধ্যা ৬ টায় আমিনুর ইসলামের সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঢাকা থেকে ছুটে আসেন ওই গ্রামের কৃতিসন্তান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক ইলিয়াস হোসেন। গুরুতর আহত আমিনুর ইসলামের উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া সজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করেন তিনি নিজে। কিন্তু বিধি বাম সেখানে চিৎিসাধীন অবস্থায় ১৩ সেপ্টেম্বর সোমবার বেলা ১২ টার সময় তার মৃত্যু হয়। তার অকাল মৃত্যুতে এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। নিহত আমিনুরের স্ত্রী সুলতানা ও ৬বছর বয়সী একটি শিশু সন্তানের অসহায়ত্বের বিষয়টি হৃদয়ে স্পর্শ করে ওই গ্রামের কৃতিসন্তান বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক ইলিয়াস হোসেনের।
দুর্ঘটনায় নিহত আমিনুর ইসলামের পরিবারের দায়িত্ব নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় ইলিয়াস হোসেন। তার জানাযা নামাজে দাঁড়িয়ে প্রুতিশ্রুতি দেয় ওই পরিবারের সকলের ভরোনপোষন। তার ৬ বছরের ছেলে লোকমান হোসেন এর লেখাপড়ার হইতে যাবতীয় খরচ এবং নিহতের ছোট ভাই রায়হান (২৬) এর চাকুরী দেওয়ার কথাও বলেন ইলিয়াস হোসেন।
এমন প্রুতিশ্রুতির কথা শুনে এলাকাবাসী মুখে ফুটে উঠেছে আনন্দের হাসি। এমন কথা গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে ইলিয়াস হোসেনকে দেখতে ও অভিনন্দন জানাতে ছুটে আসে সকল বয়সের নারী পুরুষ নিহতের বাড়ীর আঙিনায়।
ইলিয়াস হোসেন এর সহায়তা পেয়ে ভীষণ খুশি তারা ও তাঁর জন্য প্রাণ খুলে দোয়া করেন গ্রামবাসী।
শালবনগ্রামের কামরুল হোসেন, দেলুয়ার, উজ্জ্বল হোসেন সহ অনেকে বলেন ইলিয়াস হোসেনের মানবিকতার জন্য খুশি এই নিয়ে মানুষের মধ্যে আলোচনা সৃষ্টি হয় যে এমন উদার মনের মানুষ খুব কমই আছে। সবাই নিহত পরিবারের ও ইলিয়াস হোসেন এর জন্য দোয়া করেন।