মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান (এনসিএইচটিআই)-এর কেনা-কাটায় দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ৭জন ডাক্তার এবং ৪ জন ঠিকাদারসহ মোট ১১জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার কমিশন তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে বলে মেইল বার্তায় জানিয়েছে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো.আরিফুর রহমান।
যাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়া হবে তারা হলেন- ফাতেনূর ইসলাম, স্বত্বাধিকারী, মেসার্স মনার্ক এস্টাব্লিশমেন্ট, শেখ ইদ্রিস উদ্দিন (চঞ্চল), স্বত্বাধিকারী, নাফিসা বিজনেস কর্ণার, ৪৫/এ/৩-বি, আজিমপুর রোড, নিউমার্কেট, ঢাকা, নিজামুর রহমান চৌধুরী, স্বত্বাধিকারী, সান্তনা ট্রেডার্স, ৪নং বড়গ্রাম, খলিফাঘাট, মেইন রোড, কামরাঙ্গীরচর, ডা. ইসরাত জাহান, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক, মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান,আজিমপুর, ঢাকা ও সভাপতি-দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি, ডা. পারভীন হক চৌধুরী, প্রাক্তন অধ্যক্ষ (বর্তমানে-অব:), পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, আজিমপুর, ঢাকা ও সদস্য-দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি, ডা. মাহফুজা খাতুন, প্রাক্তন জুনিয়র কনসালটেন্ট (অস/গাইনী) (অবসরপ্রাপ্ত), মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, আজিমপুর, ঢাকা ও সদস্য-দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি, ডা. চিন্ময় কান্তি দাস, প্রাক্তন সহকারী কো-অর্ডিনেটর (ট্রেনিং এ- রিসার্স) (অবসরপ্রাপ্ত), মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, আজিমপুর, ঢাকা ও সদস্য-দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি, ডা. সাইফুল ইসলাম, সাবেক মেডিকেল অফিসার, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়, আজিমপুর, ঢাকা ও সদস্য-দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি বর্তমানে-উপপরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, মহাখালী, ঢাকা, ডা. বেগম মাহফুজা দিলারা আকতার,মেডিকেল কর্মকর্তা (শিশু), মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, আজিমপুর, ঢাকা ও সদস্য-বাজার দর যাচাই কমিটি এবং সদস্য সচিব- দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি,ডা. নাজরীনা বেগম, মেডিকেল অফিসার, মাতৃসদন ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, আজিমপুর, ঢাকা ও সভাপতি-বাজার দর যাচাই কমিটি,
মো. জহিরুল ইসলাম, সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা, মাতৃসদন ও শিশুস্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান, আজিমপুর, ঢাকা ও সদস্য-বাজার দর যাচাই কমিটি, বর্তমানে-সহকারী উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা, সদর, নোয়াখালী।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে-আসামিগণ একে অপরের সহায়তায় অসৎ উদ্দেশ্যে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে পরস্পর যোগসাজশে বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে মেডিসিন এ- ইকুইপমেন্ট টেন্ডারের মাধ্যমে ক্রয়ের ক্ষেত্রে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ লঙ্ঘন করে এমআরপি ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের নির্ধারিত মূল্য তালিকা মোতাবেক মেডিসিন এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত মেডিকেল এ- সার্কিট এর মূল্য তালিকা মোতাবেক সার্জিক্যাল আইটেম ক্রয় করা হয়নি।
ক্রয়ের ক্ষেত্রে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ব্যতিরেখে বর্তমান বাজারদর আমলে না নিয়ে গঠিত বাজার কমিটির প্রথম মনগড়া ও ভিত্তিহীন দরকে বিবেচনায় নিয়ে এমআরপি ওয়েবসাইট এর উত্তরপত্র মূল্যায়নের মাধ্যমে মালামাল ক্রয় করে মোট এক কোটি ২৮ লক্ষ ৬৩ হাজার ২৪১ টাকা আত্মসাৎ করেছে। অভিযোগে দুদকের দ-বিধি ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে কমিশন।