ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে তরিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি এলাকার একাধিক মানুষের কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এরইমধ্যে আলিয়ারা খাতুন নামে এক স্বামী পরিত্যক্ত নারী অভিযুক্তদের বিচার ও অর্থ ফেরত চেয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন এবং তরিকুলসহ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেন। অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম উপজেলার হরিপুর সদর ইউনিয়নের তারবাগান গ্রামের আবদুর রহমানের ছেলে এবং হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল করিমের ব্যক্তিগত কর্মচারী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হরিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল করিমের ব্যক্তিগত কর্মচারী হওয়ার সুবাদে উপজেলার ৫নং হরিপুর ইউনিয়নের জীবনপুর (কুশগাঁও) গ্রামের আলিয়ারা খাতুন নামের এক স্বামী পরিত্যক্ত মহিলার কাছ থেকে ৬০ হাজার ও একই ইউনিয়নের বজ্রমতুলি গ্রামের আবদুল কাদেরের মেয়ে রিনা আক্তারের কাছ থেকে ৪০ হাজার টাকাসহ একাধিক মানুষের কাছ থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
টাকা নেওয়ার অভিযোগে গত ৫ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবরে আলিয়ারা খাতুন নামে এক নারী একটি লিখিত অভিযোগ করেন। অপরদিকে একই ইউনিয়নের বজ্রমতুলি গ্রামের আবদুল কাদেরের মেয়ে রিনা আক্তারের কাছ থেকে গত ৭ মাস আগে ৪০ হাজার টাকা নেওয়ার বিষয়ে ৩ মিনিট ১৬ সেকেন্ডের একটি কথোপকথনের অডিও রেকর্ডিং প্রকাশ হলে তার টাকা নেওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অভিযুক্ত তরিকুল ইসলাম তারবাগান ও বজ্রমতুলি এলাকার একাধিক মানুষের কাছে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
অভিযুক্ত তরিকুল ইসলামকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি প্রথমে টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে তার ফোনালাপের রেকর্ড এর কথা বললে তিনি কৌশল অবলম্বন করে বলেন আমি রিনা আক্তারের কাছ থেকে ধার হিসেবে ২০ হাজার টাকা নিয়েছি। টাকা নেওয়ার বিষয়টি ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা সারোয়ারদী জানেন। তবে ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা সারোয়ারদী বলেন তাদের মধ্যে টাকা দেওয়া ও নেওয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবদুল করিমের সঙ্গে শুক্রবার সকাল ১১টা ২৫ থেকে ২৭ মিনিটে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।