বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগে ইউনিয়ন কমিটি গঠনের লক্ষে শুক্রবার সকাল ১০টায় আদমদীঘি থানা বিএনপির নতুন কার্যালয়ে এক আলোচনা সভায় আয়োজন করা হয়। আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম রতনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভার শুরুতেই আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও আদমদীঘি সদর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক মকলেছুর রহমান আহ্বায়ক এর কাছে জানতে চায় এই মিটিং এ সবাই কে কেন ডাকা হয় না। আহ্বায়ক সঠিক জবাব না দেওয়ায় সঙ্গে সঙ্গে থানা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাজেদুর রহমান এঞ্জেল, ফারুক হোসেন, ফাহিম হোসেন খন্দকার, রুহুল আমিনসহ অন্যন্যরা সদস্যরা প্রতিবাদ করলে হট্টগোল ও ব্যাপক হৈ চৈ শুরু হয়। এবং তারা মিটিং স্থগিতের দাবী জানায়। এমতাঅবস্থায় আহ্বায়ক তাদের দাবী মেনে নিয়ে মিটিং স্থগিত ঘোষনা করে। আদমদীঘি সদর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক মকলেছুর রহমান বলেন, থানা বিএনপির সদস্য ও সদর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক হওয়া সত্বেও তবুও আমাকে মিটিং এ ডাকা হয় না। এটা অত্যন্ত দু:জনক ঘটনা। থানা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক জেলা যুবদলের সহ-সাধারন সম্পাদক ফাহিম হোসেন খন্দকার বলেন, ওয়ার্ড বিএনপির কমিটির গঠন কল্পেও আমাদের কে ডাকা হয় না। আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য মাহাফুজুল হক টিকন সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি ও আমার অনুসারী যারা আমার সাথে থাকে তাদের কাহাকে ডাকা হয় না। দলীয় সকল কর্মকা-ে অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মী নিয়ে আমি আমার মত করে দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক থানা বিএনপির সাধারন সম্পাদক বুলবুল ফারুকের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, মিটিং এ আমাকে ডাকা হয়নি। সেই কারণে আমি যায়নি। আদমদীঘি উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আনোয়ারুল ইসলাম রতন মিটিং স্থগিত করার কথা নিশ্চিত করেন। আদমদীঘি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন বলেন, বিএনপির মিটিং থেকে কোন বিশৃঙ্খলা না হয় এবং রাস্তায় বের না হতে পারে সেই কারণে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।