নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলায় ৩ মাসে ১৭ শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র ও বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে এ তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
নিম্মে নিহত শিশুদের নাম তুলে ধরা হয়েছে,
৩রা জুলাই শনিবার কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের কালিহালা গ্রামের হ্নদয় মিয়ার ছেলে রবিউল ইসলাম(১ বছর ৫ মাস), ৪ টা জুলাই রোববার বরখাপন ইউনিয়নের বাঘসাত্রা গ্রামের জুলহাস মিয়ার ছেলে ওবাইদুল(২), ৭ জুলাই বোধবার পোগলা ইউনিয়নের বড়সালেঙ্গা গ্রামের জুয়েল মিয়ার ছেলে লিয়াম (১ বছর ৪ মাস), ১১ জুলাই বোধবার রংছাতি ইউনিয়নের বিশাউতি গ্রামের সাব্বির হোসেনের ছেলে মোস্তাকিন (১), ১৫ জুলাই বৃহঃপ্রতিবার পোগলা ইউনিয়নের মৌতল গ্রামের সাইদুল মিয়ার মেয়ে লামিয়া (৫), ২০ জুলাই কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের পর্ববাজার ঘোষপাড়া গ্রামের সুজন মিয়ার ছেলে তাসিন (১ বছর ৯ মাস), ১২ ই আগস্ট বৃহঃপ্রতিবার কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের আবদুল আলীর ছেলে লিমন (৪), ২৬ শে আগস্ট কৈলাটি ইউনিয়নের কনুড়া গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে সালমান মিয়া(৭), ২ সেপ্টেম্বর কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের তেলিগাও গ্রামের সাইদ মিয়ার ছেলে সাইম মিয়া (২), ৪ সেপ্টেম্বর একই দিনে ৩ -কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের বিশাউতি গ্রামের মোস্তাকিন(১), বাতাইয়া পাড়া গ্রামের তাসফিয়া(৫) ও কুবরিকান্দা গ্রামের জাহিদুল ইসলাম(১ বছর ৫ মাস), ৫ই সেপ্টেম্বর রংছাতি ইউনিয়নের পাঁচগাও গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দীকের মেয়ে তাসফিয়া জান্নাত (১বছর ৫ মাস), ৮ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার একই দিনে ২জন-কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নের কাসপাড়া গ্রামের সুলতান মিয়ার মেয়ে আফরিন (৪) ও পোগলা ইউনিয়নের আমবাড়ী শ্রীপুর গ্রামের শাহ আলমের ছেলে ইমরান মিয়া(৪), ১৫ই সেপ্টেম্বর রংছাতি ইউনিয়নের পুলিয়া পাড়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে তাসিন (৩)।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা এ প্রসঙ্গে বলেন, আসলে পরিবারের গুরুজনদের অসচেতনতার ফলে এমন অনাখাংকিত ঘটনা ঘটে যায়। যদি প্রত্যেকটা পরিবার শিশুদের প্রতি যতœশীল ও সর্তক থাকতো, তাহলেই আর শিশুরা এমন দুর্ঘটনার সম্মুখিন হতো না।
এ বিষয়ে কলমাকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুল আহাদ খান বলেন,আমরা এ পযর্ন্ত নিহত প্রতিটি শিশুর নাম ডায়েরিভূক্ত করে রেখেছি এবং নিহতের প্রত্যেকটা পরিবারকে সর্তক ও সচেতন হওয়ার বিষয়ে পরামর্শও দিয়েছি।
এ বিষয়ে সর্বশেষ নিহত শিশু তাসিনের মায়ের সাথে কথা হলে তিনি জানান, দিদি কি আর বলবো, প্রতিদিন এই উঠোনে খেলা করতো আমার তাসিন, সেদিন কেন তার খোঁজ রাখলাম না, আমাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেল।