রাজশাহীর পুঠিয়ায় বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের তিনটি টিন সেডের কক্ষ যে কোনো সময়ে পার্শ্বের পুকুরে ভেঙে পড়তে পাড়ে। কক্ষগুলিতে ছাত্রীরা এবং শিক্ষকরা জীবনের ঝুকি নিয়ে ক্লাস চালিয়ে আসছে। ১৯৬৮ সালে পুঠিয়া সদরে এ অঞ্চলের নারী শিক্ষার জন্য, মৃত বীরমুক্তিযোদ্ধা খলিফা আবদুল রহিম বালিকা বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত করেন। এই প্রতিষ্ঠানে সরকারি অনুদান ছাড়া অদ্যাবধি কোনো পাকা অবকাঠামোর নির্মাণ করা হয়নি। কিন্তু এখানে অনেকগুলি শিক্ষক,কর্মচারি নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখানে ষষ্ঠ শ্রেণি হতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রী সংখ্যা ৭৫০ জনের বেশি। বিদ্যালয়টি ১৯৬৮ সাল হতে অত্যন্ত সুনামের সাথে নারী শিক্ষার ভূমিকা পালন করে আসছে। জুনিয়ার স্কুল সার্টিফিকেট এবং এসএসসি পরীক্ষায় এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ফলাফল ধারাবাহিক ভাবে ভালো করে আসছে। তারপর, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বিভিন্ন সাংস্কৃতিকমূলক প্রতিযোগীতায় ছাত্রীরা শ্রেষ্ঠত্বের প্রমাণ রাখে আসছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয়ের উত্তর দিকের টিনসেড ভবনের তিনটি কক্ষ প্রায় ১০০ ফুট লম্বা বড় ধরনের ফাটলের সৃষ্টি হয়েছে এবং ৫॥৬ ইঞ্চি গর্তের সৃষ্টি করে উত্তর দিকের দেয়াল পুকুরের দিকে নেমে গেছে। শিক্ষকদের ভাষ্য,বালিকা বিদ্যালয়ের উত্তর পার্শ্বে পুঠিয়া পিএন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের একটি পুকুর রয়েছে। সেখানে দীর্ঘদিন ধরে ইজারাদাররা আধুনিক ভাবে মাছ চাষ করে আসছে। বালিকা বিদ্যালয়ের টিনসেড ভবনের প্রায় দশ হাত জমি পুকুরের ভেতরে চলে গিয়েছে। পুকুরটি ভাঙতে ভাঙতে বর্তমানে বিদ্যালয়টির ভেতরে ডুকে পড়েছে। যে কোনো সময়ে বিদ্যালয়ের তিনটি টিনসেডের কক্ষ পুকুরের ভেতর ভেঙে পড়তে পাড়ে। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাজহারুল ইসলাম মিন্টু বলেন, আমরা অত্যন্ত আতঙ্কের মধ্যে আল্লাহ্র ওপর ভরসা রেখে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। যদি বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে কোনো দূর্ঘটনা ঘটে, তাহলে বড় ধরনের ক্ষতি সম্ভবনা রয়েছে। এমন কী অনেক জীবন হানীর ঘটনা ঘটতে পাড়ে।
এ ব্যাপারে বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আহসান উল হক মাসুদ বলেন,বিদ্যালয়ের টিনসেড ভবনগুলো রক্ষা করা জন্য, জরুরি ভিত্তিতে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি আবেদন করা হয়েছে।