১)
গাঁয়ের পিসি
পাড়ার মাসি টা এ'বাড়ি যায়, ও'বাড়ি,সে'বাড়ি বাড়ি যায়।
কেউ কিছু দিলে দয়া হলে খায়
নয়তো বলে, নকুলের বউ আগেই বলেছে
ওখানেই খাবো। কিন্তু অনেকেই জানে
নকুলের বউ রাগ করে বাপের বাড়ি গেছে।
পিসি কিন্তু পুরো মিথ্যুক নয়,পিসির জন্যে
খাবার রেখেছে। পিসিকে বউ আনার ভাড়াও দিয়েছে। পিসি ছাড়া আমাদের গাঁয়ে সহজে শান্তি আসে না।
পিসি এ'বাড়ি যায় সে'বাড়ি যায় যে বাড়ির কথা ও'বাড়িতে বলে, ও'বাড়ির কথা এ বাড়ি বলে। মিথ্যে তো বলে না।
আমাদের পিসি মিথ্যুক নয়। পিসির নিজের
দুয়ার নাই। দশ দুয়ারী ঘর।
দশ দুয়ারে চলতে গিয়ে পিসি রইলো পর।
২)
জলে
নিচু স্বরে বললে ক্যানো, হবে ?
ঘর বাঁধো নি আমার সাথে, অসম্ভবে।
বললে ক্যানো, হবে ?
.
হয়তো ছিলো সবই
তোমার জলভরা চোখ
দেহজলে অমল ভ্রমন
হয়তো ছিলো দেহতরী
চতুর্দ্দশী রাতে।
.
হয়তো ছিলো নদীর দেহ
ছিলো কি সন্দেহ ?
.
এপার ওপার দুচোখ পাতা
এক করে মুদে পদ্মলোচন
পদ্মরেনু মেলে ছিলো, লুকিয়ে দেয়া।
.
বললে ক্যানো, হবে ?
হয়েই আছে চোখের পাতা
আবেশ ভরে তবে।
৩)
মনে মনে
মন রে, আমার কিছু আশা ছিলো
কিছু ভালোবাসা ছিলো
দিতে চাই সাগর বেলায়
শামুক কুড়োতে গিয়ে আনমনে দুজনে
হারিয়ে যেতে চাই।
হয়তো তুমি নও একজন তুমি আছে
দূরে অথবা কাছে
আসবে জেনেই আঁধার রেখেছি লুকিয়ে
মন রে, নিজেকে দিচ্ছি সাজা
নিজেকে নিজেই কাঁদানো রাতে
ফোনের ওদিকে তুমি
এদিকে আমি
ভাসিয়ে দিচ্ছি দুঃখ সব
তারহীন এই কান্নাগুলো রোজ রাতে
আমাদের মতো বহুজন কাঁদে
মন রে, আমার কিছু কষ্ট ছিলো
তোমাকে দেবার।