কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর পৌরসভা সহ ১১টি ইউনিয়নের একমাত্র বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এই উপজেলায় প্রায় ৩ লক্ষ লোকের অধিবাস। গত ০৩ বছর আগে ৩১ শয্যা হতে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থাকলেও জনবল সংকটের কারণে রোগীরা প্রতিনিয়ত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। প্রতিদিন আউটডরে রোগীর সংখ্যা হয় ৪৫০ থেকে ৫০০ জন। যেখানে ডাক্তার থাকার কথা ১৩ জন সেখানে ডাক্তার আছে মাত্র ০৬ জন। এর মধ্যেও রোষ্টার ডিউটিতে থাকে ০২/০৩ জন। জুনিয়র কনসালট্রেন্ট ০৯ জনের মধ্যে আছে মাত্র ০২ জন। মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট তিনি ষ্টোর কিপারের দায়িত্বও পালন করে থাকেন। অফিস সহকারী পদটিও দীর্ঘদিন ধরে খালি রয়েছে। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী যা থাকার কথা তার চেয়ে এক তৃতীয়াংশ রয়েছে বলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শী ও রোগীরা জানায়, এখানে রোগীদের খাবারের মান খুবই নি¤œ মানের। কারণ বাজার মূল্যের সাথে ঠিকাদারদের কন্টাক্ট মূল্যের সাথে কোন মিল নেই। এর পরেও বিভিন্ন ধরণের কৌশলে সকাল ১০ থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানির লোকজনের ভিড়ে সাধারণ রোগীরা ডাক্তারদের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রতিনিয়তই। সরকার করোনা ভাইরাস ঠিকাদান কর্মসূচী চালাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরে। কিন্তু দেখা গেছে মেডিকেলে কিছু অসাধু কর্মচারীর স্বেচ্ছাচারিতার জন্য ঠিকাদিতে আসা লোকজন তাদের কারণে বিভিন্ন সময় প্রতারিত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর পরেও এ সরকারি হাসপাতালটি যেন একটি রসাতলের অফিস হয়ে দাড়িয়েছে বলে এলাকায় অভিযোগ উঠেছে। ভারপ্রাপ্ত পপও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মুশফিকুর রহমান জানান, জনবল সংকটের কারণে জনগণকে সঠিক ভাবে সেবা দেওয়া যাচ্ছে না বলে উল্লেখ করেন।