ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার হোসেনগাঁও গ্রামে রুখসানা বেগম(৫৫) নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। তাঁকে হত্যার পর তাঁর স্বামী হবিবুর রহমান (৬০) থানায় আত্মসমর্পণ করে হত্যার দায় স্বীকার করেন। বুধবার ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। হবিবর রহমানকে পুলিশ আটক করে রুখসানা বেগমের লাশ উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। পারিবারিক ও থানা সূত্রে জানা যায়, ফজরের নামাজের সময় স্ত্রী রুখসানাকে ঘুম থেকে জাগালে, স্বামী- স্ত্রীর মাঝে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় স্বামী শাবল দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের ফলে রুখসানার মৃত্যু হয়। তাঁদের ৩মেয়ে ২ছেলে রয়েছে। ২মেয়ের বিয়ে হয়। ১মেয়ে দিনাজপুর হাজী দানেশ কলেজে অধ্যায়রত। ২ছেলে চাকরির সুবাধে ঢাকায় থাকেন। মঙ্গলবার রাতে তাঁদের বাসার একটি কক্ষে স্বামী-স্ত্রী ঘুমিয়ে ছিলেন। বুধবার ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে হবিবর রহমান একটি সাবল দিয়ে স্ত্রীর মাথায় আঘাত করে হত্যা করেন। এর দেড় ঘন্টা পর তিনি থানায় গিয়ে হাজির হন। পুলিশকে বলেন, ‘আমার স্ত্রীকে হত্যা করেছি, আপনারা তাঁর লাশ উদ্ধার করেন।’ তখন পুলিশ তাঁকে আটক করে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে একটি কক্ষে খাটের ওপর ওই গৃহবধূর রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান।
এবিষয়ে জানতে চাইলে রাণীশংকৈল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল বলেন, কী কারণে হত্যাকা-টি ঘটানো হয়েছে, তা পরিষ্কার নয়। ঐ গৃহবধূর স্বামী দাবি করেছেন নামাজ পরার কথা বলা নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তিনি মাথায় সাবল দিয়ে আঘাত করলে ঘটনা স্থলেই গৃহবধূ রুখসানা মারা যায়। তদন্ত করে হত্যার প্রকৃত কারণ বের করা হবে। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।