অনেকেই জ¦রঠোসার সমস্যায় প্রায়ই ভোগেন। এ ক্ষেত্রে ঠোঁটের কোণে অনেকটা জায়গা জুড়ে ছোট ছোট একগুচ্ছ ফুসকুঁড়ি দেখা দেয়।
যা প্রচ- ব্যথা ও লালচে হয়ে ফুলে ওঠে। জ¦রঠোসা হলেও মুখ খুলে খাবার খেতেও কষ্ট হয়। চিকিৎসা পরিভাষায় ফিভার ব্লিস্টার।
রাতে জ¦র আসলেই যে জ¦রঠোসা হয়, তা কিন্তু নয়। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকদের মত ভিন্ন। জ¦রঠোসা হওয়ার আরও কারণ আছে।
জ¦রঠোসার লক্ষণ কী কী?
১. ঠোঁটের কোণে, বর্ডারে বা বর্ডারের আশপাশে গুচ্ছ-বদ্ধ ফুসকুড়ি
২. জ¦র
৩. ব্যথা
৪. বমিভাব কিংবা বমি
৫. মাথাব্যথা
৬. খেতে অসুবিধা
৭. ঠোঁটে জ¦ালা করা
৮. ঠোঁট বারবার শুকনো হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
জ¦রঠোসা হওয়ার কারণ কী?
ফিভার ব্লিস্টার হওয়ার কারণ হলো এইচএসভি-১ সংক্রমণ। এই সংক্রমণের ফলে জ¦র আসে। আবার জ¦রের কারণেও ফিভার ব্লিস্টার হতে পারে।
যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা দেয়। এছাড়াও ভিটামিন সি ও ডি’র ঘাটতি হলেও জ¦রঠোসা হতে পারে।
জানলে অবাক হবেন, প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষই এইচএসভি-১ এ আক্রান্ত হন। যা সুপ্ত অবস্থায় থাকে। প্রথমবার হওয়া ফিভার ব্লিস্টার সেরে যাওয়ার পর এইচএসভি-১ স্নায়ুকোষে লুকিয়ে থাকে। পরবর্তীতে আবারও এটি প্রকাশ পায়।
জ¦রঠোসা সারাবেন কীভাবে?
>> জ¦রঠোসার স্থানে একেবারেই নখ লগাবেন না। বরফের স্যাঁক নিলে ব্যথা কমবে।
>> লেবুর মিশ্রণ আছে এমন অ্যাসেনশিয়াল অয়েলে তুলো দিয়ে ক্ষতস্থানে চেপে চেপে লাগাতে হবে। এরপর সেখানে অয়েন্টমেন্ট জাতীয় কিছু লাগিয়ে নিন।
>> নিয়মিত রসুন খেলেও এ সমস্যার সমাধান হবে। এছাড়াও রসুনের কোয়া কুচি করে ক্ষতস্থানে
লাগালেও ভালো ফল পাবেন।
>> টি ট্রি অয়েল খুবই উপকারী এক্ষেত্রে। মুখ ভালো করে তুলোয় সামান্য টি ট্রি অয়েল নিয়ে ১৫ দিন ব্যবহারেই মিলবে উপকার।
>> জ¦রঠোসা থেকে বাঁচতে নিয়মিত ভিটামিন সি’র দৈনিক চাহিদা পূরণ করুন। এজন্য লেবু খান বেশি করে।
>> এছাড়াও প্রতিদিন আপেল সিডার ভিনেগার খেতে পারেন। এতে শারীরিক বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।