আজ মহাসপ্তমী। সকাল পৌনে নয়টায় নবপত্রিকা প্রবেশ ও সপ্তমীবিহিত পূজা শুরু হবে। পূজা শেষে ভক্তরা অঞ্জলি দেবেন।
করোনা মহামারির কারণে অঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থা সীমিত আকারে করা হলেও এবার তা শিথিল করা হয়েছে। মণ্ডপে মণ্ডপে ঢাকের বোলে যেন ধ্বনিত হচ্ছে বাঙালি হিন্দুদের হৃদয়তন্ত্রীতে বাঁধভাঙা আনন্দের জোয়ার। শোনা যাচ্ছে উলুধ্বনি, শঙ্খ, কাঁসা ও ঢাকের বাদ্য।
দেশের হাজার হাজার পূজামণ্ডপ এখন উৎসবে মাতোয়ারা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা দল বেঁধে পূজা দেখতে যাচ্ছে। বিকাল থেকেই দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়ছে।
চণ্ডীপাঠ, বোধন এবং দেবীর অধিবাসের মধ্য দিয়ে সোমবার থেকে শুরু হয়েছে হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। শারদীয় দুর্গোৎসবের সোমবার (১১ই অক্টোবর) ছিল মহাষষ্ঠী।। ষষ্ঠীর দিন দেবী আসনে আসীন হয়েছেন। মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল দেবী দুর্গার আগমনের ক্ষণ গণনা।
আজ (১২ই অক্টোবর) মহাসপ্তমী। আজ শুরু হচ্ছে দেবী-দর্শন, দেবীর পায়ে ভক্তদের অঞ্জলি প্রদান ও প্রসাদ গ্রহণ। মূলত দুর্গোৎসবের মূল পর্বও শুরু হচ্ছে আজ। মহাসপ্তমীতে ষোড়শ উপাচারে অর্থাৎ ষোলটি উপাদানে দেবীর পূজা হবে। সকালে ত্রিনয়নী দেবী দুর্গার চক্ষুদান করা হবে।
দেবীকে আসন, বস্ত্র, নৈবেদ্য, স্নানীয়, পুষ্পমাল্য, চন্দন, ধূপ ও দীপ দিয়ে পূজা করবেন ভক্তরা। সপ্তমী পূজা উপলক্ষে সন্ধ্যায় বিভিন্ন পূজামণ্ডপে ভক্তিমূলক সংগীত, রামায়ণ পালা, আরতিসহ নানা অনুষ্ঠান হবে। বিশুদ্ধ পঞ্জিকা মতে সপ্তমীতে পূর্বাহ্ন ৯-৫৭ মধ্যে নবপত্রিকা প্রবেশ, স্থাপন ও সপ্তাদি কল্পারম্ভ এবং সপ্তমী বিহিত পূজা প্রশস্ত।
এবার দেবী এসেছেন ঘোড়ায় চড়ে, যাবেন দোলায় চড়ে। এ বছর সারা দেশে ৩২ হাজার ১১৮টি মণ্ডপে হবে দুর্গা পূজা।
এদিকে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের প্রতিটি পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় পুলিশ, আনসার, র্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন সোমবার দুপুরে রাজধানীর বনানী পূজামণ্ডপ ও সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাদি পরিদর্শন করেন।