হারানোর দীর্ঘ ৯ বছর পর ফরিদপুরের মধুখালী থানা পুলিশের প্রচেষ্টায় হারানো ছেলেকে ফিরে পেলো এক পিতা।
মধুখালী থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মো. শহিদুল ইসলাম জানান, খাগড়াছরি জেলার লক্ষীছড়ি থানার ২২০ নং ময়ুরখালী(মহিষকাটা) গ্রামের হাসমত আলীর পুত্র মো. অলি আহাম্মদ এর ছেলে মো. ইমরান হোসেন(১৬) ২০১১ সালে খাগড়াছরি এলাকার সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে চাকুরিরত হাফেজ মাওলানা মো. নুরুল ইসলাম পিতা মো. আ. হাকিমের সাথে তার নিজ বাড়ি নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানার ছনধরা গ্রামে মাদ্রাসায় লেখাপড়া করার জন্য যায়। সেখানে ইমরান ৯মাস পর একদিন বাজার করার কথা বলে এলাকার ঢেউঢুকুম বাজারে গিয়ে আর ফিরে না আসায় হাফেজ মাওলানা মো. নুরুল ইসলাম পূর্বধলা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন (যাহার নং ৬৮২ তারিখ ২১/৪/২০১২)।
অফিসার ইনচার্জ বলেন ১০/১০.২০২১ ইং তারিখে সকাল আনুমানিক ৯টার সময় ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামালদিয়া ইউনিয়নের ঝাউহাটি গ্রামের জৈনিক নুর জাহান বেগম, স্বামী মৃত আবদুল জলিল থানায় ইমরান নামে একটি শিশুকে সাথে নিয়ে এসে জানান যে তার স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায় ২০১২ সালে উপজেলার স্থানীয় ব্রাম্মনকান্দা বাজারে একটি ছেলেকে কান্নাকাটি করতে দেখে তাকে সাথে করে বাড়ীতে নিয়ে আসে। তখন সে নিজের নাম ও পিতামাতা নাম বলতে পারলেও ঠিকানা বলতে নাপারায় দীর্ঘ ৯বছর আমার বাড়ী লালিতপালিত হতে থাকে। এখন ইমারন নিজ পরিবারের কাছে ফিরতে আগ্রহী।
মধুখালী থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ আরো বলেন ইরানকে জিজ্ঞাসাবাদে জানান তার পিতার আলি আহম্মদ ধানা লক্ষীছড়ি জেলা রাঙামাটি বলে জানায়। আমরা অনুসন্ধানে জানতে পারি লক্ষীছড়ি খাগড়াছড়ি জেলায় অবস্থিত। তাৎক্ষানিক ভাবে লক্ষীছড়ি থানার কর্মকর্তা ইনচার্জের হোয়াইআপে ইমরানের ছবি ঠকিানা পাঠিয়ে ইমরানের পিতার ঠিকানা সনাক্ত করে গত ১২ অক্টোবর ২০২১ তারিখে রাতে ইমরানকে তার পিতার নিকট বুঝে দেই। এ সময় মধুখালী থানায় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।