হিজলায় উৎকোচ গ্রহনের দায়ে মহিলার হাতে জনসম্মুখে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল হালিম লাঞ্চিত হয়েছেন। গত ১৪ অক্টোবর দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের সময় উপজেলা পরিষদ হলরুমে তাকে লাঞ্চিত করেন হিজলা মেমানিয়া ইউনিয়নের ছোটলক্ষ্মীপুর গ্রামের আমেনা বেগম নামের এক মহিলা। ঘটনা সূত্রে জানাগেছে মা ইলিশ সংরক্ষন অভিযানে মৎস্য স্বীকারের দায়ে মেঘনা নদী থেকে আল আমিন মাতুব্বর নামের এক স্কুল ছাত্র গ্রেফতার করে উপজেলা চত্বরে নিয়ে আসেন। মোবাইল কোর্টের সাজা থেকে বাঁচাতে স্কুল ছাত্র আল আমিনের মা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার ধারস্থ্য হয়। এ সময় সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আল আমিনকে ছাড়তে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। পুত্রকে ছাড়াতে মা আমিনা মৎস্য কর্মকর্তাকে ১০ হাজার নগদ প্রদান করে। কিন্তু ছাড়ানোর প্রকৃয়া শেষ না হতেই সহকারী কমিশনার ভূমি ও ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম ভুক্তভোগী আল-আমিনকে মোবাইল কোর্টে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে। এ সময় আল আমিনের মা আমেনা বলেন আমি আমার ছেলেকে ছাড়াতে অফিসারকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু ওই টাকা মোবাইল কোর্টে জমা না হলে, আমেনা বেগমকে পুনরায় ৫ হাজার টাকা গুনতে হয়। অফিসারকে দেয়া ১০ হাজার টাকা ফেরৎ পাওয়ার জন্য উপজেলা হলরুমে জন সম্মুখে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তাকে শার্ট ধরে টনা টানি করে। এ সময় কর্মকর্তা আমেনা বেগমকে পাগল বললে, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে নিবৃত্ত করে। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী আমেনা বেগম সাংবাদিকদের জানান আমি এ প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফসার বরাবরে একটি আবেদন করিয়াছি। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম জানান মহিলা কাহারো নাম বলতে পারেনি। কোন আবেদন আমি পাইনি, তবে ডাক ফাইলে আছে কিনা আমি দেখব। উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কমকর্তা আবদুল হালিমকে এ বিষয়ে ফোনে জানতে চাইলে তিনি জানান কোন কিছু জানতে হলে অফিস সময়ে অফিসে এসে জানতে হবে।