অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণ এড়াতে অধিকাংশ মহিলাই গর্ভনিরোধক ওষুধ ব্যবহার করে থাকেন। দাবি করা হয়, এই ধরণের ওষুধ ৯৯.৭ শতাংশ ক্ষেত্রে গর্ভধারণের হাত থেকে বাঁচায়। তবে পরীক্ষাগারের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গর্ভনিরোধে এসব পিলের ব্যর্থতা ৯ শতাংশ। কিছু ক্ষেত্রে অন্যান্য ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় পিলের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। সব মিলিয়ে চারটি বিষয় বের করা হয়েছে যার ফলে জন্মবিরতিকরণ পিল কোনো কাজ করে না। নিয়মিত না খেলে এই ওষুধগুলি কাজ করে না। অন্যান্য হরমোন কন্ট্রাসেপ্টিভের মতোই এসব পিল নারী দেহের সংশ্লিষ্ট হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। অধিকাংশ পিল ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরনের সমন্বয়ে কাজ করে। পিল নিয়মিত না খেলে এসব হরমোনের ঘাটতি দেখা দেয়। বিজ্ঞানীরা ওরাল হরমোন পিলকে নিরাপদ করতে গবেষণা চালাচ্ছেন। প্রজোস্টেরন-ইস্ট্রেজন পিলের কার্যকারিতা পেতে হলে ছয় থেকে ১২ ঘন্টার মধ্যে এটি ব্যবহার করতে হয়।প্রোজেস্টরেন পিল ব্যবহার করতে হবে প্রতিদিনের ভিত্তিতে। একদিন বাদ পড়লে দেহে হরমোনের মাত্রা কমে যেতে পারে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। কিছু বিশেষ চিকিৎসা পদ্ধতির জন্য এসব পিল কাজ করে না। যেমন- টিউবারকুলোসিসের জন্য রিফামপিসিন, অ্যান্টি-ফাংগাল ড্রাগ গ্রাইসোফালভিন ইত্যাদির ক্ষেত্রে অনেক সময় পিল কার্যকারিতা দেখাতে পারে না। তাই চিকিৎকদের এসব ওষুধ নেওয়ার ক্ষেত্রে পিলের বিষয়ে পরামর্শ দিতে হবে। যেকোনো হার্বাল সাপ্লিমেন্টের কারণে গর্ভনিরোধক পিলের কার্যকারিতা নষ্ট হতে পারে। এজন্য চিকিৎকের পরামর্শ নিতে হবে। বিশেষ ওষুধ ও হার্বাল সাপ্লিমেন্টের কারণে গর্ভনিরোধকে ব্যাকআপ ব্যবস্থার কথাও বলেন বিশেষজ্ঞরা।