মাগুরায় চার খুনের ঘটনার তিনদিন পর ৬৮ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছে এক পক্ষ। সোমবার দুপুরে মামলাটি করেন নিহত সবুর মোল্যা, কবির মোল্যা ও রহমান মোল্যার ভাই আনোয়ার হোসেন মোল্যা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলায় ইউপি মেম্বার নজরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। অন্যদিকে ইমরান হোসেন হত্যার ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে তার মা ফরিদা বেগম বাদী হয়ে সোমবারই থানায় মামলা করবেন বলে জানিয়েছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান। আগামী ১১ নভেম্বর মাগুরা সদর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে প্রার্থিতা নিয়ে সদর উপজেলার জগদল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার নজরুল ইসলাম ও প্রতিপক্ষ প্রার্থী সৈয়দ হাসানের সমর্থকদের মধ্যে গত শুক্রবার বিকেলে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে বর্তমান মেম্বার নজরুল ইসলামের সমর্থকদের হামলায় প্রতিপক্ষের সবুর মোল্যা, কবির মোল্যা ও রহমান মোল্যা নামের তিন ভাই নিহত হন। অপর মেম্বার প্রার্থী সৈয়দ হাসান আলী পক্ষের হামলায় নিহত হন অপর পক্ষের ইমরান হোসেন নামের এক যুবক। এ সংঘর্ষে আহত হন উভয় পক্ষের ২০ জন। পরদিন শনিবার সন্ধ্যার পর ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে প্রশাসন। পরে জানাজা শেষে রাতেই একই পরিবারের তিন ভাই সবুর মোল্যা, কবির মোল্যা ও রহমান মোল্যার লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। অন্যদিকে অপর নিহত ইমরান হোসেনকে দাফন করা হয় জগদল রুপাটি গ্রামের কবরস্থানে। সদর থানার ওসি মঞ্জুরুল আলম বলেন, চার খুনের ঘটনায় গোটা গ্রামে পুরুষশূন্য অবস্থা বিরাজ করছে। দূর-দুরান্ত থেকে নারী আত্মীয়- স্বজনরা এসে বাড়িঘর পাহারা দিচ্ছেন। বেশিরভাগ পরিবার লুটপাটের আশঙ্কায় বাড়িঘরের মালামাল, গরু, ছাগল আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তবে পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে গোটা এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।