যশোরের কেশবপুরের গত ৫ দিনের অবিরাম বর্ষনে অধিকাংশ গ্রাম পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে বাড়িঘরে পানি উঠায় গ্রামের মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। পানির ভেতর দিয়ে যাতায়াত করায় এলাকার মানুষের হাত ও পায়ে চুলকানি শুরু হয়েছে। এলাকার মানুষ পানিবাহিত নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত ও ডেংগুর প্রভাব বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন।
সরোজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার বাগডাঙ্গা, মনোহরনগন, পাথরঘাটা, বেলকাটি, গড়ভাঙ্গা, ডোঙ্গাঘাটা, সাগরদত্তকাটি, বেতিখোলা, নারায়নপুর ,কাকবাধাল, বেতিখোলা, কাটাখালি, কালিচরণপুর গ্রামের অধিকাংশ মানুষের বাড়ির উঠানে পানি থই থই করছে। অনেকেই যাতায়াতের জন্য উঠানে তৈরি করেছেন বাঁশের সাঁকো। আবার কেউ কেউ দূর থেকে মাটি এনে ও ইট দিয়ে উঠানসহ যাতায়াতের রাস্তা উঁচু করার চেষ্টা করছেন। গ্রামের মাট-ঘাট পেরিয়ে বাড়িতে পানি উঠে আসায় গবাদি পশু নিয়েও বিপাকে পড়েছে গ্রামবাসী। গোখাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। সাংসারিক কাজকর্ম থেকে শুরু করে পয়নিষ্কাশনে ব্যাপক সমস্যা দেখা দিয়েছে। বেতিখোলা গ্রামের রফিকুল ইসলাম বলেন, ঘর থেকে পাকা রাস্তায় উঠতে বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। ঘর একটু উঁচু যায়গায় হওয়ায় ঘর থেকে রান্না ঘর, বাতরুমসহ সকল কাজে কলার ভেলা ও সাঁকো তৈরি করে অন্যত্র যাতায়াত করতে হচ্ছে। ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে পরছে না। মনোহননগর গ্রামের মহসীন হোসেন জানান, আমরা গ্রামবাসী ত্রাণ চায় না, পানিবন্দি থেকে মুক্তি পেতে চায়। বাগডাঙ্গা গ্রামের স্বপন রায় বলেন, প্রায় ১৫ দিন ধরে বাড়ির উঠানে হাঁটু পানি ,রান্না ঘরের চুলার ভেতরেও পানি উঠে গেছে, আলাদা চুলা তৈরি করে রান্না করতে হচ্ছে। রুমিছা বেগম বলেন, বাড়িঘরে পানি উঠার পর গোয়াল থেকে গরু বের করা যাচ্ছে না। গোখাদ্য ফুরিয়ে আসায় বাধ্য হয়ে কম দামে গরু বিক্রি করে দিতে হচ্ছে। বাথরুমও তলিয়ে গেছে। ইউপি সদস্য বৈদ্যনাথ সরকার বলেন, পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।