ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের গজারিয়া অংশের মেঘনা সেতু থেকে মেঘনা-গোমতী সেতুর দূরত্ব মাত্র ১৩ কিলোমিটার। ভবেরচর হাইওয়ে থানার তথ্যমতে এই ১৩ কিলোটমিটার জায়গায় ব্ল্যাক স্পটের সংখ্যা ১৭টি যা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি। প্রায়ই এখানে দুর্ঘটনায় হতাহতের ঘটনায় জানমালের ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে এবার জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর জন্য ভবেরচর হাইওয়ে পুলিশ নানা ধরনের উদ্যোগ হাতে নিয়েছে। ইতোমধ্যে তারা এসব উদ্যোগের সুফল পেতে শুরু করেছেন বলে জানিয়েছেন ভবেরচর হাইওয়ে থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ।
গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে থানার কর্মকর্তা ইনচার্জ মোঃ শাহজালাল বাবুল জানান,চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর গজারিয়া ভবেরচর হাইওয়ে থানায় যোগদান করেন। তিনি যোগদান করার পর থেকে মহাসড়কটির গজারিয়া অংশে দুর্ঘটনা রোধে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি।মহাসড়ক হতে প্রতিনিয়ত থ্রি হুইলার আটক করে প্রসিকিশন দাখিলের পর ১৫ দিন আটক রাখা হয়। নিরাপদ সড়কের জন্য ফিডার রোডে মহাসড়ক সংযোগস্থলে থ্রি হুইলার মহাসড়কে না চলার জন্য সতর্কীকরণ একাধিক নোটিশ বোর্ড স্থাপন করা হয়েছে। মহাসড়কের পাশের অবৈধ স্থাপনা,দোকানপাট ও বাজার উচ্ছেদ করা হয়েছে।সংযোগ-ফিডার রোডে কমিউনিটি পুলিশ দ্বারা নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। দিবারাত্রি পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে। থ্রি হুইলার না চলার জন্য মাসে একাধিকবার মাইকি করা হচ্ছে। প্রতিমাসে চালক এবং হেলপারদের সাথে অন্তত দুইবার জনসচেতনতামূলক কর্মশালা পালন হচ্ছে। পুলিশের নানা উদ্যোগের মহাসড়কটিতে অন্যান্য সময়ের তুলনায় দুর্ঘটনার সংখ্যা কমে এসেছে। গত দেড় মাসে মামলা হয়েছে মাত্র তিনটি।
ভবেরচর হাইওয়ে থানার সূত্রে জানা গেছে, গত দেড়মাসে নিয়ম ভঙ্গ করে গাড়ি চালানোর দায়ে ১৩৫টি মামলা করেছে হাইওয়ে পুলিশ। এর অধিকাংশ মামলাই নিয়ম ভঙ্গ করে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর জন্য। মহাসড়ক থেকে ঘটা দুর্ঘটনার অধিকাংশের কারণ অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানো। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ১৭টি দুর্ঘটনায় ১৭জন মারা গেছে আহত হয়েছে অন্তত অর্ধশতাধিক তবে গত বছর এ সময়ের তুলনায় এ সংখ্যাটা অনেক কম।