পূর্ব শত্রুতার জেরধরে মেয়ের বিয়েতে বাঁধা প্রদানের জন্য আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছে প্রতিপক্ষের লোকজনে। এ সময় উভয়পক্ষের হামলা ও সংঘর্ষে সাতজন আহত হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার ভুরঘাটা গ্রামের।
ওই গ্রামের বাসিন্দা এবং খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবুল বেপারী জানান, শুক্রবার দুপুরে তার মেয়ের বিয়ের জন্য বাড়িতে মেহমান আসার কথাছিলো। এ খবর পেয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান পন্ড করার জন্য শুক্রবার সকালে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়। তিনি আরও জানান, সদ্য ইউপি নির্বাচনে তিনি ইউপি সদস্য প্রার্থী ছিলেন। ওইসময় একই বংশের চাচাতো ভাই ফরিদ বেপারী অন্য প্রার্থীকে সমর্থন করায় তিনি পরাজিত হন। এনিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে। ওই বিরোধের জেরধরে ফরিদ বেপারী ও তার সহযোগিরা অর্তকিতভাবে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুরসহ চারজনকে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় পাল্টা হামলায় ফরিদ বেপারীসহ আরও তিনজন জখম হয়। হামলাকারীরা বাবুল বেপারীর বাড়ি থেকে একটি মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ আফজাল হোসেন জানান, খবর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুরুত্বর আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে। হামলায় গুরুত্বর আহত আওয়ামী লীগ নেতা বাবুল বেপারী, ভাতিজা জিলকদ বেপারী, চাচাতো ভাই স্কুল শিক্ষক বরাত হোসেন বেপারীকে পাশ্ববর্তী কালকিনি উপজেলা হাসপাতালে এবং তার (বাবুল) ভাবী স্কুল শিক্ষক আসমা খানম, প্রতিপক্ষের ফরিদ বেপারী, তার ভাই ফারুক বেপারী ও বাবা মোকসেদ বেপারীকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।