বিলুপ্তপ্রায় বাঙালি সংস্কৃতির ঐতিহ্য যাত্রাপালার গ্রামীণ সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে নাটোরের বাগাতিপাড়ায় গালিমপুরের শতবর্ষী গিরিশ নাট্যমন্দিরকে ঘিরে গ্রামে গ্রামে বিভিন্ন সময় মঞ্চস্থ হয় বিখ্যাত সব যাত্রাপালা। এর ধারাবাহিকতায় এ বছর দুই দিন ব্যাপী যাত্রা উৎসবের আয়োজন করে স্থানীয় বকুল স্মৃতি থিয়েটার। উৎসবের শেষ দিন শনিবার রাতে উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামে জমিদার বাড়ি গিরিশ ধাম সংলগ্ন মঞ্চস্থ হয় ‘বিজয় বসন্ত’ যাত্রাপালা। স্থানীয় শিল্পীরা এতে অংশ নেন। দর্শক উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। আয়োজকরা বলেন, ঝুমুর যাত্রাপালা ‘বিজয় বসন্ত’ যাত্রাটির রচয়িতা হিরেন্দ্র কৃষ্ণ দাস এবং পরিচালনায় ছিলেন দেবাশীষ কুন্ডু। এতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন জালাল উদ্দিন, আবদুল মালেক, আবুল কাশেম, মকবুল হোসেন, সুমি, সালমাসহ ১৪ জন স্থানীয় শিল্পী। এর আগে প্রথম দিনে শুক্রবার রাতে মঞ্চস্থ হয় ‘নাচ মহল’। যাত্রা উৎসবের উদ্বোধনী ও সমাপণী উভয় দিনে প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক যুগ্ম সচিব মলয় কুমার রায়। বাংলাদেশ গ্রাম থিয়েটারের ইলামিত্র অঞ্চলের সমন্বয়কারী মসগুল হোসেন ইতি বলেন, ঝুমুর যাত্রাপালা ‘বিজয় বসন্ত’ এর কাহিনি দর্শকদের মন জয় করেছে। রাজা মুকুল সেনের শিশুপুত্র বসন্ত সেন ডাকাতের হাতে ছিনতাই হয়। রাজার শিশুপুত্রকে ডাকাত হত্যা করতে উদ্যত হলে লাঠিয়াল সরদার তাকে উদ্ধার করে নিজের কাছে রেখে লালন-পালন করেন। ঘটনাচক্রে রাজার আরেকপুত্র দুষ্টু প্রকৃতির বিজয় সেন ও বসন্ত সেনের মধ্যে সংঘর্ষের একপর্যায়ে পরিচয় করিয়ে দেন লাঠিয়াল সরদার তারা দুই ভাই বিজয়-বসন্ত।