চাঁদপুর সদর উপজেলার পদ্মা-মেঘনা নদীর বিভিন্নস্থানে এবার জেলের জালে অনেক পাঙ্গাশ মাছ ধরা পড়ছে। আশানুরপ ইলিশ না পেলেও পাঙ্গাশ বেজায় খুশি জেলে।
মা ইলিশ সংরক্ষণের ২২ দিনের অভিযান শেষে গেল ২৬ অক্টোবর থেকে গত কয়েকদিনে চাঁদপুর বড়স্টেশন মৎস্য আড়তগুলোতে প্রায় এক-দেড়'শ বড় পাঙ্গাশ বিক্রি হয়েছে।২৬ ও ২৭ অক্টোবর দুইদিনে ৪০ থেকে ৫০ মণ পাঙ্গাশ বিক্রি হয় বলে জানান চেয়ারম্যানের মৎস্য আড়তের আড়তদার আলী আকবর বেপারী।
দাম নাগালের মধ্যে থাকায় ঘাটের ইলিশ ব্যবসায়িরা এমনকি দূর-দূরান্ত থেকে অনেক সাধারণ ক্রেতাও মাছ ক্রয় করেন। একেকটা মাছের ওজন একেক রকম। ৭-৮থেকে ১০-১২ কেজি ওজনের পাঙাশের সংখ্যা বেশি। এসব মাছ প্রতি কেজি ৬৫০ -৭০০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।
রাজরাজেশ্বর চর এলাকার জেলেরা নদীতে বেশি পাঙ্গাশ পেয়েছে এবার।কট সুতায় তৈরি ডোম জালে সুস্বাদু মাছ ধরা পড়ছে।
চাঁদপুর মৎস বনিক সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুল বারী জমাদার মানিক বলেন, কার্তিক মাস পাঙ্গাশেরর সিজন। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার মাছঘাটে কিছুটা বেশি পরিমাণে বড় সাইজের পাঙ্গাস আসছে।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী মৎস কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ বলেন, মা ইলিশ রক্ষা অভিযানে অবৈধ জালের পাশাপাশি আমরা বিভিন্ন সাইজের মাছ ধরার চাই ধ্বংস করেছি। সেই অভিযানের সফলতা হিসেবেই ইলিশের পাশাপাশি বড় সাইজের পাঙ্গাসসহ অন্যান্য মাছ জেলেদের জালে মিলছে বলে মনে করছি।