পটুয়াখালীর বাউফলের নওমালা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাড. কামাল হোসেন বিশ্বাসের কর্মী সমর্থকদের লক্ষ্য করে বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজাদা হাওরাদারের ক্যাডারেরা প্রকাশ্য গুলি বর্ষণ করেছেন এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার ১নভেম্বর বেলা ১২টার দিকে নওমালা ইউনিয়ন নগরের হাটে এঘটনা ঘটে। গুলি বর্ষণের ঘটনায় নওমালার নগরের হাট এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঘটনাস্থলে রয়েছেন। এছাড়াও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ঘটনায় নৌকার সমর্থক বজলুর রহমান ২৬ জনকে আসামি করে ঐ দিনই বাউফল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ঘটনার দিন নৌকার প্রার্থীর বড় বোন মমতাজ বেগম (৫৩) কয়েকজন নারী সমর্থক নিয়ে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে গণসংযোগে গেলে বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজাদা হাওলাদারের সমর্থক ওহাব, বেল্লাল ও সোহাগসহ ২০/২৫ জনের একটি দল তাদেরকে হেনস্থা করে। এ খবর জানাজানি হলে নৌকার সমর্থকরা তাদেরকে উদ্ধারের জন্য রওয়ানা হলে নগরের হাটে বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজাদা হাওলাদারের বাড়ির সামনে থেকে নৌকার সমর্থকদের লক্ষ্য করে ৪/৫ রাউন্ড গুলি করা হয়। এ সময় ২০০ গজের মধ্যেই পুলিশ অবস্থান করছিল।
ঘটনার সময় পাশের বিল্ডিংয়ের ছাঁদ থেকে ধারন করা ১৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও দেখে যায়, বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজাদা হাওলাদারেরর ক্যাডার মো. মিজান ওরফে পিস্তল মিজান (৩৫) শর্টগান দিয়ে নৌকার কর্মী সমর্র্থকদের উপর গুলি বর্ষণ করেন। সাথে আরও কয়েকজন ইট পাটকেল নিক্ষেপ করছেন।
নৌকার প্রার্থী কামাল হোসেন বিশ্বাস অভিযোগ করেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের বড় ভাই আবু তাহের খান বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করে প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করছেন। যার কারণে পুলিশ প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকা পালন করছেন। এলাকার বাহির থেকে প্রচুর সংখ্যক সন্ত্রাসী বাহিনী এনে নওমালার ভোটারদের জিম্মি করে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করছেন এবং নৌকার গণসংযোগ করতে দিচ্ছে না।
এ বিষয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী শাহজাদা হাওলাদার জানান, সকাল ৮টায় আমি ৮ নং ওয়ার্ডে গণসংযোগে যাই, ৯টায় শুনি আমার বাসা কোপায়। আমার বাড়িতে কেয়ারটেকার ছাড়া কোন লোক ছিল না। গুলি করার কথা মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আল মামুন গুলির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, প্রার্থী শাহজাদা হাওলাদারের সমর্থক মিজান এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এ ঘটনায় নৌকার সমর্থক বজলুর রহমান ২৬ জনকে আসামি করে ঐ দিনই একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামি গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।