প্রতীক বরাদ্দের পর নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদ নিবার্চনে প্রার্থীরা পোস্টার লাগানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। এরইমধ্যে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ হাট-বাজার ও মোড় ছেয়ে গেছে পোস্টারে। নিবার্চন আগামী। তাই সরগরম হয়ে উঠেছে নাসিরনগর। নাসিরনগর উপজেলায় ১১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ,জাতীয় পার্টি (এরশাদ),ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ,জাকের পাটি ও স্বতন্ত্রসহ চেয়ারম্যান পদে ৬০ জন, সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১৬৫ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪৯৬ জন প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দ পেয়ে মাঠে ভোটযুদ্ধে নেমে পড়েছেন।তবে আওয়ামী লীগের ৭টি ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় ভোটাররা সংশয়ে পড়েছেন। ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নিবার্চনকে সামনে রেখে প্রচার-প্রচারণা জমে উঠেছে। উপজেলার সবর্ত্র বিরাজ করছে উৎসবের আমেজ। প্রার্থী ও সমর্থকরা বিরামহীন ভাবে চালিয়ে যাচ্ছেন শেষ মুর্হূতের প্রচারণা। প্রায় প্রতিদিনই প্রার্থীরা হাট-বাজার-পাড়া-মহল্লায় চষে বেড়াচ্ছেন। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন এবং সেই সাথে নিজেদের সৎ ও দূনীর্তিমুক্ত রেখে এলাকার উন্নয়নে ও অসহায় মানুষদের সহযোগিতার আশ্বাস সকলের কাছে দোয়া ও ভোট চাইছেন। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সবর্ত্রই চলছে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা। প্রার্থীদের নিয়ে চলছে শেষ মুর্হূতের হিসাব-নিকাশ। তবে মুখ খুলছেন না ভোটাররা। কে চেয়ারম্যান নিবার্চিত হবেন তা নিয়ে উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নের চায়ের দোকানে,হাট-বাজার,অফিস-আদালত ও গ্রামাঞ্চলে সবর্ত্রই এখন আলোচিত হচ্ছে। তবে প্রতিনিয়ত পাল্টাচ্ছে ভোটারদের হিসাব-নিকাশ। নাসিরনগর উপজেলায় ১২৫টি কেন্দ্রে ও ৬শ’ ৩১টি বুথে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। নতুন ভোটার তালিকা অনুযায়ী ১৩টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৬ হাজার ১১৩ জন।
এদিকে প্রচারাভিযান চালাতে গিয়ে অধিকাংশ প্রার্থীই মানছে না নিবার্চন কমিশনের ঘোষিত আচরণ বিধি। আচরণবিধি ভঙ্গ করেই প্রতিদিন কোন কোন প্রার্থী কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মৌন মিছিল,মাইকিং শোভযাত্রা করে গ্রামীণ জনপথ হাট-বাজারসহ বিভিন্ন জনবহুল মোড়ে ভিড় করার অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া বিভিন্ন ক্লাব,মসজিদ,মাদ্রাসা,মন্দিরে চলছে উদার হাতের নানা অনুদান। বিনিময়ে চাইছে ভোট। আশ্বস্ত করা হচ্ছে নির্বাচনে বিজয়ী হতে পারলে রাস্তা-ঘাট ,স্কুল কলেজ,মাদ্রাসাসহ এলাকার সার্বিক উন্নয়নের,দুর করা হবে সমাজের সকল অপরাধ,সোচ্চার করা হবে মাদক.চুরি বিরোধী অভিযান। তবে উপজেলা প্রশাসনও বসে নেই। আচরণবিধি ভঙ্গের দায়ে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা করছে কতিপয় প্রার্থীদের।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নিবার্চন সমন্বয়কারী হালিমা খাতুন জানান,অবাধ, সুষ্ঠু,শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নিবার্চন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে ঝুঁিকপূর্ণ কেন্দ্র চিহ্নিত করে সেখানে নেয়া হচ্ছে বাড়তি নিরাপত্তা।