একদিন পরেই কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে আওয়ামীলীগ, জাসদ এবং আওয়ামী লীগের বহিস্কৃত প্রার্থীরা উত্তাপ ছড়াচেছ। বিজয় ছিনিয়ে নিতে এখন মুখোমুখি প্রার্থীরা। বিজয় নিশ্চিত করতে বৈধ অবৈধ সকল প্রক্রিয়ায় প্রার্থীরা গ্রহন করতে পারেন, এমন শঙ্কায় কঠোর অবস্থান নিয়েছে ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসন। পুলিশ, র্যাবের টহল জোরদার করা হয়েছে। ভোটের দিন নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে ভেড়ামারার ৬টি ইউনিয়ন পরিষদের ৬০ টি কেন্দ্র।
ভেড়ামারা উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন মোকারিমপুর, বাহাদুরপুর, জুনিয়াদহ, ধরমপুর, চাঁদগ্রাম ও বাহিরচরে আগামী ১১ নভেম্বর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ১,৪৬,১৭৭। পুরুষ ৭৩,১২৬ মহিলা ৭৩,০৫১। ৫৫ টি ভোট কেন্দ্র এবং ৫টি অস্থায়ী ভোট কেন্দ্রে এবার ভোট গ্রহন করা হবে। প্রত্যেক টি কেন্দ্রই ঝুকিপূর্ন উল্লেখ্য করে ৪ স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরী করেছে উপজেলা প্রশাসন। নির্বাচনে পর্যাপ্ত আনসার, পুলিশ, র্যাব এবং বিজিবি মোতায়েন থাকবে। এছাড়াও ৩ জন ম্যাজিষ্ট্রেট’র নেতৃত্বে ষ্ট্রাইকিং র্ফোস পুরো ভেড়ামারা উপজেলা চষে বেড়াবেন। কন্ট্রোল রুমে থাকবেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিনেশ সরকার এবং সহকারী কমিশনার ভূমি ম্যাজিষ্ট্রেট রেকসানা খাতুন। প্রশাসনিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, কোন বিশেষ প্রার্থী কে ছাড় দেওয়া বা সুযোগ সুবিধা দেওয়া নয়, একটি অবাধ, সুষ্টু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন সর্ম্পন্ন করার নির্দেশ রয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এ ক্ষেত্রে প্রিজাইডিং অফিসারদেরও অনেক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আর ভোটের দিন সকালে বিশেষ কায়দায় পৌঁছানো হবে ব্যালেট পেপার। ইতোমধ্যেই সকল প্রস্তুতি সর্ম্পূন্ন করা হয়েছে।
ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তা দীনেশ সরকার বলেছেন, একটি অবাধ, সুষ্টু, নিরপেক্ষ এবং উৎসব মুখর নির্বাচন করতে সরকার বদ্ধ পরিকর। নির্দেশনাও সেভাবে রয়েছে। ভোটের দিন ঝুঁকিপূর্ন ৬০টি কেন্দ্রই নিরাপত্তা বেষ্টনী দিয়ে ঢেকে রাখা হবে। নির্বাচনে ৪ স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী থাকবে। যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবিলায় সকল প্রস্তুতি রয়েছে প্রশাসনের। তিনি বলেন, ঝুঁকিপূর্ন বিবেচনা করে ভোটের দিন ভোর রাতে বিশেষ ব্যবস্থায় এক যোগে ৬০ টি কেন্দ্রই ব্যালট পেপার পাঠানো হবে।