চৌফলদন্ডীর ৯ নম্বর ওয়ার্ডে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে গ্রামবাসীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১২ নভেম্বর রাতে সংঘটিত গোলাগুলির এ ঘটনায় পরস্পরের উপর দায় চাপানো হচ্ছে। বিজয় মিছিল শেষে খোনকারখীল চিংড়িঘের এলাকায় কে বা কারা গুলিবর্ষণ করে। এদিকে এ ওয়ার্ডের বিজিত মেম্বার প্রার্থীর শুভাকাক্সক্ষীদের মারধর ও হুমকি-ধামকি দেয়ার অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা। নির্বাচন-উত্তর এমন সহিংসতায় উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন গ্রামবাসী। যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিবর্গ।
প্রাপ্ত অভিযোগে প্রকাশ, শুক্রবার দুপুরে ওয়ার্ডের বিজয়ী মেম্বার প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা একটি বিজয় মিছিল বের করে। যা ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে। এ সময় বিজিত মেম্বার প্রার্থীর শুভাকাক্সক্ষীদের মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের। তারা জানান, দোকানে অবস্থানরত বিজিত মেম্বার প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের শুভাকাক্সক্ষীদের লাথি কিল ঘুষি মারা হয়। মেম্বার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তারা হামলার শিকার হয় বলে দাবি করা হয়। অভিযোগকারীরা হচ্ছেন পুকুরিয়া ঘোনার নুরুল আজিম, আবদুল কাদের, ওবায়দুল হক, মোঃ নাগু, চারা বটতলার মোস্তফা কামাল, সিরাজ মিয়া, নুরুল হক, হামিদ হোসন ও আবু শামা। একই দিন রাতে ওয়ার্ডের খোনকারখীল এলাকার লেদু মিয়ার চিংড়ি ঘেরের বাসায় অবস্থানরত কয়েক জনকে ধাওয়া করা হয়। তাদেরকে উদ্ধারের জন্য অন্যরা এগিয়ে আসলে কয়েক রাউন্ড গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পরস্পরের উপর দায় চাপানো হচ্ছে। গ্রামবাসীদের দাবি বিজিত প্রার্থীর লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বিজিত প্রার্থীর লোকজন কিন্তু তা স্বীকার করেছে না। ধাওয়া খেয়ে পালিয়ে যাওয়াদের মধ্যে রয়েছে চিংড়ি ঘেরের মালিকের পুত্র মারুফসহ তার কয়েকজন কর্মচারী। তারা অন্য ওয়ার্ড ঘুরে নিজ বাড়িতে পৌঁছান বলে জানা গেছে। এ সময় চিংড়ি ঘেরের বাসা ও ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ মালিকপক্ষের। চিংড়ি ঘেরের মালিক লেদু মিয়া খোনকারখীল গ্রামের মৃত আবদুল গফুরের পুত্র এবং বিজিত মেম্বার প্রার্থী জয়নালের শুভাকাক্সক্ষী।
এ ঘটনায় লেদু মিয়া আদালতে আইনি প্রতিকারের প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন বলে জানান। এদিকে গোলাগুলির ঘটনায় শান্তিপ্রিয় ওয়ার্ড বাসীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, চৌফলদন্ডী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মনজুর আলম ৬৯২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিগত তিনবারের নির্বাচিত মেম্বার জয়নাল আবেদীন। তার প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ৬৩৪ টি। ভোট কেন্দ্রের নাম খোনকারখীল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ১৮১৫ জন। ভোট কাস্ট হয়েছে ১৩৪৫ টি। বিজয়ী ও বিজিত মেম্বার প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান ৫৮ টি। ঘোনাপাড়া, পুকুরিয়া ঘোনা, বিয়ারী পাড়া ও খোনকারখীল নিয়ে এ ওয়ার্ড গঠিত।