পাবনার সাঁথিয়া নাগডেমড়া ইউপি নির্বাচনে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০জন আহত হয়েছে। এ সময় দোকান ও বাড়িঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। সোমবার সন্ধ্যা রাতে নাগডেমড়া ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ৬ন জনকে আটক করে মঙ্গলবার সকালে আদালতে প্রেরন করেন।
নৌকার চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ অভিযোগে বলেন, সোমবার নাগডেমড়া ইউনিয়নের পার্শ্ববর্তী হড়িয়া গ্রামে উঠান বৈঠক শেষে তাঁর কর্মী সমর্থকেরা সোনাতলা বাজারে এলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকেরা নৌকার কর্মীদের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে ১৩জন নেতা কর্মীকে গুরুতর জখম করে। পরে তাদের উদ্ধার করে সাঁথিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একজনকে পাবনা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজুর রহমান হাফিজ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে নৌকার সমর্থকেরা আমার লোকজনের উপর অতর্কিত হামলা করে ৭জন নেতা কর্মীকে গুরুতর আহত করে। এ সময় তারা ৫টি বাড়িঘর ও ৩টি দোকান-পাট ভাংচুর করে নগদ অর্থ নিয়ে যায়। আহতদের মধ্যে আবদুস সালামে অবস্থা গুরুতর হলে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
সাঁথিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ আসিফ মোহাম্মদ সিদ্দিকুল ইসলাম বলেন, উভয় পক্ষের মামলা হয়েছে এবং ৬জনকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।