বিগত ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-২০২১ইং সাগরনাল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডে মঈনুল ইসলাম জুনেদ’র সাথে ইউপি সদস্য পদে প্রতিযোগিতা করে পরাজিত হই। নির্বাচনের পর আমি ফলাফল মেনে নেই। কিন্তু বিজয়ী প্রার্থী জুনেদ ফলাফল ঘোষনার পর পর রাতেই তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল সহকারে আমার কর্মী সমর্থকদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে হামলা-ভাংচুর চালায় এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় তারা আমার কর্মীদের শারিরিক ভাবে লাঞ্জিত করে। তার ভয়ে আমার অনেক কর্মী আত্বগোপনে আছে। আমার ও নৌকা প্রতীকের কর্মী ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট আনোয়ার হোসেন এবং তার ছেলে ছাত্রলীগ কর্মী এসএসসি পরিক্ষার্থী বখতিয়ার হাসান আরাফাত সন্ত্রাসী জুনেদের লোকজন শারিরিক লান্ঞ্চিত করে এবং রাতে তার বাড়ীতে মিছিল নিয়ে এসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং তার বাড়ীর গেইট বেষ্টনি ভাংচুর করে।
ওই দিন রাতে বিজয়ী ইউপি সদস্য মঈনুল ইসলাম জুনেদ’র নেতৃত্বে আমির হোসেন, জানু মিয়া, হাসিম মিয়া, শামিম আহমদসহ প্রায় শতাধিক কর্মী বিজয় মিছিল নিয়ে আমার কর্মী নির্মল বৈদ্য( লাল্টু), মনি বৈদ্য, শিলা বৈদ্য, মনাফ মিয়া, মনজ্জির আলী, বারিক মিয়াসহ আরও অনেকের ঘর বাড়ীতে হামলা চালায়। এ সময় তারা বাড়ীর টিনের বেড়া ভাংচুর, ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও মিছিল থেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। জুনেদের কর্মী সমর্থকদের ভয়ে আমার কর্মী সমর্থকরা বাড়ী থেকে বের হতে পারছেনা। এ ঘটনার খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়।
আমার পিতা মোঃ কনর মিয়া ৮নং ওয়ার্ডের পাচঁবারে ইউপি সদস্য ছিলেন এবং তিনি সাগরনাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সহ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। আমার পিতার পথ অনুসরন করে আজও আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আওয়ামী লীগে আছি এবং আজীবন থাকবো। প্রতিপক্ষ জুনেদ তার অপকর্ম ধামাচাপা দিতে সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যাচার করেছেন এবং আমার কর্মী নির্মল বৈদ্যকে বাড়ী থেকে জোরপূর্বক ধরে এনে হত্যার ভয় দেখিয়ে গত ১৪ ই নভেম্বর জুড়ীতে কথিত এক প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে হাজির করানো হয়। তাকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে মিথ্যা, বানোয়াট ও কাল্পনিক বক্তব্য দেওয়ানো হয়। মূলত মঈনুল ইসলাম জুনেদ সে নিজেই জামাতের একজন এজেন্ট। ইউপি সদস্য জুনেদ ইতঃপূর্বে সরকারি বনভূমি দখল এবং গাছ চুরির সাথে জড়িত থাকায় জুড়ী থানার পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুল নূর (মাস্টার) এর কর্মী বখতিয়ার হাসান আরাফাতকে শারিরিক ভাবে লান্ঞ্চিত হওয়ার খবর পেয়ে সাগরনাল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী তাকে দেখতে যান এবং গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে তীব্র নিন্দাও প্রতিবাদ জানান। কিন্তু চতুর জুনেদ আওয়ামী লীগ সভাপতির বিরুদ্বে ও সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন। কথাগুলো আজ ১৬ ই নভেম্বর বুধবার সকালে মৌলভীবাজারের জুড়ীতে উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন সাগরনাল ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের পরাজিত সদস্য পদপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবক মনজ্জির আলী, আনোয়ার হোসেন, সুন্দর আলী, মনিন্দ্র বৈদ্য মনি, আবদুল মনাফ প্রমূখ। সংবাদ সম্মেলনে অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট আনোয়ার হোসেন জুনেদ মেম্বারের কথিত মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনে ছবুর মিয়া নামক ব্যক্তির অভিযোগের তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ছবুর মিয়া একজন ভূমি খেকো। সে সরকারী রাস্তার জমি দখল করে রেখেছে।নির্মল বৈদ্য অভিযোগ করে বলেন, গত ১৪ নভেম্বর জুড়ীতে আমাকে জোরপূর্বক একটি হোটেলে নিয়ে জুনেদ মেম্বার বক্তব্য দেওয়ায়। আমি অনেক চেষ্টা করে তাদের কাছে থেকে ছুটতে পারিনাই। আমি প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি। যেকোনো সময় তারা আমাকে মারধর করবে। মন্জ্জির আলী বলেন,আমি সাইফুল ইসলামের একজন কর্মী ছিলাম।এটাই আমার অপরাধ। জুনেদ মেম্বারের দলবল নিয়ে আমার বাড়ীতে হামলা করে। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করি।