যশোর জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও কেশবপুর উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চারবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান আবু বকর আবুর তৃতীয় হত্যাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাগদাহ গ্রামে আবু বকর আবুর কবর জিয়ারত করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সহ সাংগঠণিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। এ সময় তার সাথে ছিলেন যশোর জেলা এিনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট সাবেরুল হক সাবু, যশোর জেলা ও নগর বিএনপি নেতা দেলোয়ার হোসেন খোকন, মারুফুল ইসলাম, নজরূল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শহীদ ইকবাল, কেশবপুর বিএনপি নেতা আবদুস সামাদ বিশ^াস, মশিয়ার রহমান, প্রভাষক আলাউদ্দিন আলা কুতুব উদ্দিন বিশ^াস,সহ যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল ও ছাত্রদল নের্তৃবৃন্দ। অপরদিকে কেশবপুর থানা ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে দিবসটি পালনে সকালে দলীয় কার্যালয়ে দলীয় ও কালো পতাকা উত্তোলন, কোরান খতম,স্মরণসভা ও বাগদাহ গ্রামে আবু বকর আবুর কবর জিয়ারত করা হয়।
সকাল ১০ টায় কবর জিয়ারত শেষে বিএনপি কার্যালয়ে পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক আলাউদ্দিন আলার সভাপতিত্বে স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সদস্য সাবেক মেয়র আবদুস সাপমাদ বিশ^াস। এ সময় আলোচনায় অংশ নেন বিএনপি নেতা কুতুব উদ্দিন বিশ^াস,নুরুজ্জামান চৌধুরী,মোকারম হোসেন, সোহেল হাসান আইদ, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সামসুল আলম বুলবুল, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম মোস্তফা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব বাবুল রানা বাবু, ছাত্রদল নেতা মাসুম বিল্লাহ, অহিদুল ইসলাম অন্তুু প্রমুখ।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়নের জন্য তিনি ঢাকায় যান। ১৫ নভেম্বর পল্টনের মেট্রোপলিটন হোটেল এলাকা থেকে অপহরণ হয়েছিলেন এ জনপ্রিয় নেতা। অপহরণের ৪ দিন পর ১৯ নভেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন বুড়িগঙ্গা নদী থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে ঢাকার মিডফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
ওই সময় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় প্রথমে একটি মামলা হয়। পরে মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে হস্তান্তর করে। হত্যাকান্ডের তিন বছর পার হলেও হত্যা রহস্য উদঘাটিত হয়নি।