মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম রোববার (২১ নভেম্বর) বাগেরহাটের চিতলমারীতে এসেছিলেন। তিনি মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির মাঠ পর্যায়ের পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। তিনি নানা পর্যায়ের মানুষের সাথে মতবিনিময় করেছেন। মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির কার্যক্রমের ইউনিয়ন মা ও শিশু সহায়তা কমিটির সভা, জনসচেতনতামুলক জারিগান, ডিজিটাল তথ্যসেবা কেন্দ্রের সেবাদান, উপকারভোগী বাছাই প্রক্রিয়া, মা ও শিশু সহায়তা প্রকল্পের উঠান বৈঠক পরিদর্শন করেন। কিশোর কিশোরী ক্লাবের সদস্যরা বাল্যবিয়ে বন্ধের তথ্যাদি উপস্থাপনসহ সঙ্গীত, আবৃত্তি পরিবেশন করেন। তিনি উপজেলা প্রশাসনের নানা পর্যায়ের কর্মকর্তাগণের সাথে মতবিনিময় করেন।
বিকাল চারটার দিকে চরবানিয়ারী ইউনিয়ন মা ও শিশু সহায়তা কমিটির মাসিক সভা পরিদর্শন করেন। চরবানিয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান অর্চনা বড়াল ঝর্ণার সভাপতিত্বে এই সভার প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম বলেন, ‘মা ও শিশুদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। গর্ভবতী মা সুস্থ থাকলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সন্তান সুস্থ থাকবে। সেই লক্ষ্যেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা সবাই কাজ করে চলেছি। উপজেলা পর্যায়ের কাজ পরিদর্শনের জন্য এই প্রথম কোন সচিব তৃণমুলে এসেছে। এর অর্থ হলো আমরা জনগণের দোড়গোড়ায় সরকারের পরিপূর্ণ সেবা পৌঁছে দিতে চাই।’
মাঠ পর্যায়ের কাজ পরিদর্শনকালে তাঁর সাথে ছিলেন চিতলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইয়েদা ফয়জুন্নেছা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল আফরোজ স্বর্ণা, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান, চরবানিয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান অর্চনা বড়াল ঝর্ণা সহ এনজিও রিক এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লিউএফপি)’র কর্মকর্তাবৃন্দ। রোববার সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় এই রিপোর্ট লেখাকালীন উপজেলা পর্যায়ের কিশোর কিশোরী ক্লাবের অনুষ্ঠান চলছিল।
উল্লেখ্য, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডাব্লিউএফপি)’র সহায়তায় ২০১৮ সাল হতে এই কাজ বাংলাদেশের সাতটি উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে (পাইলট) চলছে। সাতটি উপজেলার একটি বাগেরহাটের চিতলমারী।