বগুড়ার শেরপুর উপজেলার চাষীদের ফলানো টমেটো বাজারে আসবে আর কয়েকদিনের মধ্যে। কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় আগাম টমেটো চাষ করেছিলেন এই উপজেলার চাষীরা। ভালো দাম পেতে শীতকালীন টমেটো বাজারে তুলতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তারা। উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার চাষি ৪শ ৫০ বিঘা জমিতে এ বছর আগাম উচ্চফলনশীল জাতের টমেটো চাষ করেছেন। এসব জমিতে উচ্চফলনশীল জাতের লাভলী, বিউটি, হাইটম, বিপুলপ্লাসসহ নানা জাতের টমেটোর চারা লাগিয়েছেন তারা। এসব টমেটোর ভালো বাজার দর পাওয়া যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কৃষকরা। এর সঙ্গে ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন তারা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, এবার ভালো দাম পাওয়ার আশায় আগামী সপ্তাহে আগাম টমেটো বাজারে বিক্রয় করবে। এতে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন চাষিরা। রাত-দিন সমান তালে ক্ষেতের পরিচর্যায় সময় পার করছেন। উপজেলার খামারকান্দি ইউনিয়নের শুভগাছা গ্রামের লুৎফর রহমান জানান, অতি বৃষ্টির কারণে এ বছর সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কৃষি কাজে নির্ভরশীল এই এলাকার মানুষ। এখানকার চাষিদের আবাদকৃত সবজি থেকে দেশের বড় চাহিদা মেটানো হয়ে থাকে। শেরপুর উপজেলার সবজি ও চারা দেশের চট্রগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা ও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এখানকার সবজি চালান হয়ে থাকে।
সুঘাট ইউনিয়নের গুয়াগাছি গ্রামের গ্রামের আরেক টমেটো চাষি হায়দার আলী জানান, তিনি ২৫ শকত জমিতে টমেটো চাষ করেছেন। সেখানে ২০ হাজার টাকা খরচ করে ২ লক্ষ টাকা বিক্রয়ের আশা করছেন। তবে এবার দাম ভালো পাওয়ার আশা। তিনি আরো জানান, টমেটো চাষের জন্য কৃষি অফিস বীজ, সার ও উপকরণ দিয়েছেন। তাদের পরামর্শে কাজ করায় রোগ বালাই ও পোকা মাকড় তেমন আক্রমণ এবার চোখে পড়ছেনা। সার্বক্ষনিক তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি তারা পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা উদ্ভিত সংরক্ষন অফিসার মাসুদ আলম জানান, রোগ বালাই থেকে ক্ষেত মুক্ত রাখতে সার্বক্ষনিক আমরা ব্যবস্থা পত্রের মাধ্যমে ও সরেজমিনে পরামর্শ দিয়ে থাকি।
শেরপুর উপজেলা ভারপ্রাপ্ত কৃষি অফিসার মোসা: জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, ৬০ হেক্টর (৪৫০ বিঘা) জমিতে টমেটো চাষ করে এখানকার চাষিরা বেশ তৎপর। বিশেষ করে সবজি চাষে চাষিরা বেশ সাফল্য এনেছেন। আগাম টমেটো চাষের প্রতি দিনদিন চাষিরা ঝুঁকছেন। স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে চাষিদের মাঝে বিনা মূল্যে বীজ, সার, কীটনাশকসহ নানা কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়। পাশাপাশি টমেটো চাষের জন্য সবধরণের পরামর্শ ও সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে।