বরগুনার পাথরঘাটায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীরা প্রচার প্রচারনা চালাতে গিয়ে দুই ইউনিয়নে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৯ জন আহত হয়েছে। এ সময় সোহাগ খান নামের এক মেম্বর প্রার্থীকে তার প্রতিদ্বন্দি প্রার্থী তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসির প্রতিরোধের মুখে ছেড়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে পাথরঘাটা সদর ও মানিকখালী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে দুই নারীসহ ৫ জনকে পাথরঘাটা হাসপাতালে ভর্তি করে ৪ জনকে স্বাভাবিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতরা হলেন, ইদ্রিস (৪৫),পরি বেগম (৩২), শহিদ (৬২), ছবি বেগম (৩৫), সোহাগ খান (২৮) এর নাম জানা গেছে।
পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বর প্রার্থী শহিদুর রহমান জানান, রাতে তার বাড়িতে বসে লোকজন নিয়ে নির্বাচনের কর্মী বৈঠক করছিল। এ সময় তার প্রতিদ্বন্দি¦ প্রার্থী মোস্তফা কামাল তার সমর্থকদের নিয়ে কর্মী বৈঠকে হামলা চালায়। লোকজনে বাধা দিতে গেলে তাদের মারধরসহ ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর করে। পরে থানা থেকে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। প্রার্থী মোস্তফা কামাল দাবী করেন এ ঘটনা শহিদ মিয়ার সাজানো নাটক।
নাচনাপাড়া ৭নং ওয়ার্ডের ফুটবল মার্কার মেম্বর প্রার্থী সোহাগ খান জানান, তার প্রতিদ্বন্দি¦ প্রার্থী রুস্তুম আলী ওয়ার্ড আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক। তার দলের প্রভার খাটিয়ে আমাকে (সোহাগ খান) প্রচার প্রচারনা করতে দিচ্ছে না। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনারকে জানিয়েও কোন লাভ হয়নী। পরে রোববার সন্ধ্যার দিকে যখন ৪/৫জন সমর্থক নিয়ে কেরামতপুর বাজারে ক্যাম্পিং করতে যাই তখন রুস্তম আলী তার লোকজন নিয়ে আমাকে মারধর করে মোটরসাইকেলে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আমি ডাকচিৎকার দিলে গ্রামের লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে। বিষয়টি থানায় জানানো হয়েছে।
পাথরঘাটা থানার ওসি মোঃ আবুল বাসার এসব ঘটনার সত্যতা নিশ্চিৎ করে জানান, সবাই মৌখিক অভিযোগ নিয়ে আসে। লিখিত অভিযোগ পেলে সকল অপরাধের যথাযথ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।